হযরত শাহ্ রাখাল (র:) মাজার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত হলেন মোকাম বাড়ীর বংশধর হযরত শাহ্ রাখাল (র:) মাজার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত হলেন মোকাম বাড়ীর বংশধর – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র জনবল সংকট ও তহবিলের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে আত্রাইয়ে মহাসড়কে ঝরল এক এনজিও কর্মীর প্রাণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আত্রাইয়ে তিন পদে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল কুলাউড়ায় দুই নেত্রীর লড়াইয়ে কে হাসবেন শেষ হাসি? প্রকপ্ল পরিদর্শণে কুলাউড়ায় ইউনিসেফ ওয়াশ ন্যাশনাল কনসালটেন্ট কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ লন্ডনে বড়লেখা ফাউন্ডেশন ইউ.কে নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যবসায়ি সাইদুল ইসলামের মতবিনিময় জুড়ীতে স্থলবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের এলাকা পরিদর্শন বড়লেখা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়াজ উদ্দীন কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান কুলাউড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৩ জনকে জরিমানা

হযরত শাহ্ রাখাল (র:) মাজার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত হলেন মোকাম বাড়ীর বংশধর

  • সোমবার, ২ মে, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, এইবেলা, কুলাউড়া :: 

কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের হাকালুকি হাওর সংলগ্ন মদনগৌরী এলাকায় অবস্থিত দুই শতাধিক বছরের পুরনো ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম পীর হযরত শাহ্ রাখাল (র:) এর ঢেরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১ মে’২২ ইং) বিকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঢের এর ঝাড়–দার মানিক মিয়া ঘটনাস্থলেই মৃতুবরণ করেন। নিহত মানিক মিয়া মোকাম বাড়ীর বংশধর ছিলেন। তিনি বেশ কয়েক বছর থেকে মাজার ও ঢেরে ঝাড়– দেওয়ার মাধ্যমে খেদমত করে আসছিলেন। এ ঘটনায় মোকাম বাড়ীর আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ভূকশিমইল ইউনিয়নের অন্তর্গত মদনগৌরী গ্রামে অবস্থিত দুই শতাধিক বৎসরের পুরনো ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম পীর হযরত শাহ্ রাখাল (র:) মাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো: রফিকুল ইসলাম রেনু চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এরই ধারবাহিকতায় গত রোববার (০১ মে ২০২২ইং) বিকালে মো: রফিকুল ইসলাম রেনু মোকাম দখলের উদ্দেশ্যে লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। এই খবর পেয়ে মোকাম বাড়ীর বংশধর কয়েকজন লোক মোকামে উপস্থিত হয়ে বৈঠকে বাধা নিষেধ প্রদান করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মোকামবাড়ির বাসিন্দা মানিক মিয়া ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। মানিক মিয়া ওই মোকামের ঝাড়–দারের দায়িত্বে ছিলেন।

এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে উল্টো প্রতিপক্ষকে ফাসাতে সাবেক চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রেনু নিজে বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিকল্পিত এই মামলায় আসামী করা হয়- মদনগৌরী গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে কাওছার আহমদ (প্রধান আসামী), মৃত হাজী ছওয়াব আলীর ছেলে ইউনুছ মিয়া, তৈমুছ মিয়ার ছেলে মইনুল ইসলাম, মৃত হাজী ছওয়াব আলীর ছেলে ফয়াজ মিয়া, মৃত ইসহাক আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম, বাদশা মিয়ার ছেলে জয়নুল মিয়া, আজিদ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া, এবং মৃত আপ্তার আলীর ছেলে জুয়াইদ আলী।

এই বিষয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিণয় ভূষন রায় জানান, কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামীগণকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews