কুলাউড়ায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র- মাথাগুজার ঠাঁই নেই ত্রাণ অপ্রতুল পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক কুলাউড়ায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র- মাথাগুজার ঠাঁই নেই ত্রাণ অপ্রতুল পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাত সংগ্রহ সংক্রান্ত মতবিনিময় কমলগঞ্জে চা শ্রমিক নারীর লাশ সৎকার থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে  স্পেনের বার্সেলোনায় বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার সম্পন্ন বড়লেখা সমাজসেবা অফিসের ‘সমাজকর্মী’ সুব্রত বিশ্বাসের পরলোকগমন : শোক প্রকাশ কুলাউড়ায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখার উদ্বোধন জুড়ী ট্র্যাজেডি : সোনিয়ার মৃত্যুতে বেঁচে রইলো না আর কেউ কুলাউড়ায় এনার ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আত্রাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত বড়লেখায় স্বাধীনতা দিবসে ২শ’ দুস্থ পরিবারে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী দিল বিজিবি

কুলাউড়ায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র- মাথাগুজার ঠাঁই নেই ত্রাণ অপ্রতুল পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

জেলা প্রশাসকের পরিদর্শণ-

এইবেলা, কুলাউড়া  ::  মাথাগুজার ঠাঁই নেই। সারারাত জেগে কাটাতে হয়। অপ্রতুৃল ত্রাণ। চুৃলো জ¦লে না। বিশুদ্ধ পানির অভাব। কোন স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। বয়ষ্ক আর শিশুরা পার করছেন দুর্বিষহ সময়। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে না থেকে আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিতে ফিরে যাচ্ছেন আশ্রিতরা। এই চিত্র ২৩ জুন বৃহস্পতিবার কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হাওর তীরের ভুৃকশিমইল ইউনিয়নের ঘাটের বাজার শেড ঘর বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের।

আশ্রয় কেন্দ্রে গত ১৯ জুন থেকে অবস্থান করছেন বৃদ্ধা মায়ারুন বেগম, বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম। এই দুই বৃদ্ধা মহিলার সাথে পরিবারের অন্য কোন লোকজন নেই। তাদের ঘরে পানি উঠায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এই আশ্রয় কেন্দ্রে। তাদের মুৃল সমস্যা হলো চুলা জ¦ালাতে পারেন না আশ্রয় কেন্দ্রে। খোলা জায়গায় প্রশ্রাব পায়খানা করতে হয়। তাও আবার অপেক্ষা করতে হয় রাত নামার।

আব্দুর রুফ, কটাই মিয়া জানান, পরিবারের নারী ও শিশুদের ঘুমের ব্যবস্থা করে দিতে তাদের রাত জেগে বসে থাকতে হয়। বাজারের ছোট্র শেড ঘরে ১৫-১৬টি পরিবার বসবাস করা দুষ্কর। তাছাড়া প্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়ে ছেলে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকাটাও ঝুঁকিপূর্ণ।

শুধু ঘাটের বাজার আশ্রয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রই নয় এর পাশে উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের মীর শঙ্কর প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর কুলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়, পৌরসভার ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজ, রাবেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে জানা যায়, প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্রে যে ত্রাণ সরকারি বেসরকারিভাবে পেয়েছেন তা দিয়ে একদিন বা দু’দিন চলা যায়। কিন্তু গত ৪-৫ দিন থেকে অবস্থানরতরা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও হাওর এলাকায় মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি যে ত্রাণ বরাদ্ধ করা হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

২৩ জুন বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান কুলাউড়া উপজেলা বিভিন্ন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত দূর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী ও ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews