কুলাউড়ায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র- মাথাগুজার ঠাঁই নেই ত্রাণ অপ্রতুল পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক কুলাউড়ায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র- মাথাগুজার ঠাঁই নেই ত্রাণ অপ্রতুল পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় ভক্তদের ভিড়-কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মণ্ডপ পরিদর্শন কমলগঞ্জে শ্রমিক নেতা, ভাষা সংগ্রামী মফিজ আলীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত কুলাউড়ার শরীফপুর সীমান্ত দিয়ে ৬ সহস্রাধিক কেজি ইলিশ গেলো ভারতে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা ঘোষণা- বড়লেখায় বর্হিবিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরাম মানবিক কাজে ব্যয় করেছে ৫০ লক্ষাধিক টাকা ভাষা সংগ্রামী ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড মফিজ আলীর মৃত্যু বার্ষিকী আজ বড়লেখায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৩ পরিবারের মাঝে ঢেউ টিন বিতরণ জুড়ীতে প্রান্তিক মৎস্য চাষিদের মাঝে পোনা মাছ বিতরণ কুলাউড়ায় যানজট নিরসনে অভিযানে অর্ধশত গাড়ির চাবি জব্দ কমলগঞ্জে মন্দির সংস্কার ও অস্বচ্ছল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ কুলাউড়ায় আ’লীগের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে বাদী : নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি

কুলাউড়ায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র- মাথাগুজার ঠাঁই নেই ত্রাণ অপ্রতুল পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

জেলা প্রশাসকের পরিদর্শণ-

এইবেলা, কুলাউড়া  ::  মাথাগুজার ঠাঁই নেই। সারারাত জেগে কাটাতে হয়। অপ্রতুৃল ত্রাণ। চুৃলো জ¦লে না। বিশুদ্ধ পানির অভাব। কোন স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। বয়ষ্ক আর শিশুরা পার করছেন দুর্বিষহ সময়। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে না থেকে আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিতে ফিরে যাচ্ছেন আশ্রিতরা। এই চিত্র ২৩ জুন বৃহস্পতিবার কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হাওর তীরের ভুৃকশিমইল ইউনিয়নের ঘাটের বাজার শেড ঘর বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের।

আশ্রয় কেন্দ্রে গত ১৯ জুন থেকে অবস্থান করছেন বৃদ্ধা মায়ারুন বেগম, বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম। এই দুই বৃদ্ধা মহিলার সাথে পরিবারের অন্য কোন লোকজন নেই। তাদের ঘরে পানি উঠায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এই আশ্রয় কেন্দ্রে। তাদের মুৃল সমস্যা হলো চুলা জ¦ালাতে পারেন না আশ্রয় কেন্দ্রে। খোলা জায়গায় প্রশ্রাব পায়খানা করতে হয়। তাও আবার অপেক্ষা করতে হয় রাত নামার।

আব্দুর রুফ, কটাই মিয়া জানান, পরিবারের নারী ও শিশুদের ঘুমের ব্যবস্থা করে দিতে তাদের রাত জেগে বসে থাকতে হয়। বাজারের ছোট্র শেড ঘরে ১৫-১৬টি পরিবার বসবাস করা দুষ্কর। তাছাড়া প্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়ে ছেলে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকাটাও ঝুঁকিপূর্ণ।

শুধু ঘাটের বাজার আশ্রয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রই নয় এর পাশে উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের মীর শঙ্কর প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর কুলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়, পৌরসভার ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজ, রাবেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে জানা যায়, প্রত্যেকটি আশ্রয় কেন্দ্রে যে ত্রাণ সরকারি বেসরকারিভাবে পেয়েছেন তা দিয়ে একদিন বা দু’দিন চলা যায়। কিন্তু গত ৪-৫ দিন থেকে অবস্থানরতরা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও হাওর এলাকায় মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি যে ত্রাণ বরাদ্ধ করা হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

২৩ জুন বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান কুলাউড়া উপজেলা বিভিন্ন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত দূর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী ও ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews