আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তনের দাবি যাত্রীদের আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তনের দাবি যাত্রীদের – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ওসমানীনগরের জয়বুননেছা গার্লস হাই স্কুলে রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে বিদ্যালয়ে সংবর্ধনা! উত্তরার মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের স্মরণে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির শোকসভা ও মিলাদ কমলগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি নেতা সাজ্জাদুর রহমান আর নেই কমলগঞ্জে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলড্রেস বিতরণ ঢাকায় সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিটারে জমজমাট ফুটবল ফাইনাল ম্যাচে এফসি টেরাবাইটের জয়, রানার্সআপ বাগ ক্রুলার্স আত্রাইয়ে জুলাই শহিদদের স্মরণে বৃক্ষরোপন কুড়িগ্রামে জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষ কর্মসূচি পালিত সিলেটে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুক্রবার কুলাউড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তনের দাবি যাত্রীদের

  • বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২

মাঝরাতে স্টেশনের বাইরে গেলেই বিপদে পড়তে হয়

এইবেলা, কুলাউড়া  :: আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তনের দাবি যাত্রীদের। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা থেকে ফিরে মাঝ রাতে নিশ্চিত বিপদের মূখে পড়তে হয় যাত্রীদের। হয় দ্বিগুণ –তিনগুণ ভাড়া গুণতে হয় নতুবা সর্বস্ব হারানোর ভয় থাকে যাত্রীদের।

বড়লেখা উপজেলা আজিমগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনিরুল, তারেক ও জসিম জানান, বাসের ভ্রমণ কষ্ট দায়ক তাই তারা ঢাকা থেকে কুলাউড়া জংশন স্টেশন পর্যন্ত আন্ত:নগর উপবন ট্রেনে আসেন। আগে থেকে সিএনজি অটোরিক্সা রিজার্ভ করে রাখতে হয়। তারজন্য ৩শ টাকারস্থলে গুনতে হয় আটশ থেকে একহাজার টাকা। কুলাউড়া স্টেশনে রাত আড়াইটা কিংবা পৌনে ৩টায় নেমে ২৫ কিলোমিটার দুরে যাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। ছিনতাইকারী আর ডাকাতের ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়। জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা মামুনুর রশীদ ও রফিক মিয়া জানান, দিনের বেলা একটা সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে যেতে লাগে দেড়শ টাকা। মাঝরাতে ট্রেন থেকে নামলে গুনতে হয় ৩শ টাকা।

কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের বাসিন্দা সেলিম আহমদ জানান, ঢাকা থেকে ফিরে বাড়িতে যাওয়ার কোন গাড়ী পাওয়া যায় না। শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরজান আলী জানান, ঢাকায় কাজ সেরে শমসের নগর স্টেশনে ফিরে সকাল হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হয়। পাহাড়ী অঞ্চল দিয়ে বাড়ি ফেরার ঝুঁকি বেশি। ফলে রেলস্টেশনে ভোর হওয়া পর্যন্ত সময় কাটাতে হয়। স্টেশন এলাকায় মাদক চোরাকারবারী, মাদক সেবক আর ছিনতাইকারীদের উৎপাতে আতঙ্কে সময় কাটে। শহরের মাগুরা এলাকার বাসিন্দা শিমুল ও লস্করপুর এলাকার বাসিন্দা শিপন জানান, স্টেশন নেমে বাসা পর্যন্ত পৌঁছা দুষ্কর হয়ে পড়ে। একদেড় কিলোমিটারের রাস্তা অতিক্রম করে বাসায় যেতে সিএনজি অটোরিক্সা একশ দেড়শ টাকা দাবি করে। ছিনতাইকারীর ভয়ে হেটে যাওয়ার কোন উপায় নেই।

রেলওয়ে সুত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখী আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায় রাত সাড়ে ৮টায়। ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জ এসে পৌছায় রাত পৌনে একটায়, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে পৌছায় রাত দেড়টায়, শমসের নগর স্টেশনে পৌঁছায় সোয়া ২টায়, কুলাউড়া স্টেশনে রাত আড়াই টায় এবং সিলেট স্টেশনে পৌঁছায় রাত সাড়ে ৪টায়।

এসকল স্টেশনের যাত্রীরা স্টেশনে নেমে পড়তে হয় বিপাকে। ট্রেনটি পূর্বের সময়সূচিতে ফিরে গেলে যাত্রীরা বিশেষ করে সিলেট কুলাউড়াসহ মাইজগাঁও এবং শমসেরনগর এসব স্টেশনের যাত্রীরা ফযরের নামাযের পর অর্থাৎ ভোরের আলোয় আলোকিত হওয়ার পর তাদের স্টেশনে নামবে। তাতে ভাড়ার ক্ষেত্রে ২-৩গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে না। আবার ছিনতাইকারী কিংবা ডাকাতের ভয়ও থাকবে না।

কুলাউড়া স্টেশনের কর্তব্যরত মাস্টার মুহিবুর রহমান জানান, যারা ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণ করেন তাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। ট্রেনের এই সিডিউলের কারণে যাত্রীও তুলনামুলক কম হয়। পুরাতন টাইমটাই ভালো ছিলো।##

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews