ছড়া ও নদ নদী দিয়ে নামছে পাহাড়ী ঢল হাকালুকি হাওরের বোরো ধান হুমকির মুখে ছড়া ও নদ নদী দিয়ে নামছে পাহাড়ী ঢল হাকালুকি হাওরের বোরো ধান হুমকির মুখে – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় নৌকার বিজয় নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানালেন নাদেল মৌলভীবাজার-৪ আসনে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন পাওয়ায় ওসমানীনগরে জাতীয় পার্টির আনন্দ মিছিল যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বন্ধু আহাদকে নিয়ে এসএসসি ‘৯৪ ব্যাচ কুলাউড়ার আড্ডা শিক্ষাখাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ-মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভয়ভীতি ও প্রলোভনেও বিএনপি নেতাদের ভোটে টানা যাচ্ছে না! ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে বোরো ধানবীজ বিতরণ মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনে বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের মনোনয়ন সংগ্রহ কমলগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নাচে-গানে সাঙ্গ হলো ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি মহারাসলীলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

ছড়া ও নদ নদী দিয়ে নামছে পাহাড়ী ঢল হাকালুকি হাওরের বোরো ধান হুমকির মুখে

  • বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩

এইবেলা, কুলাউড়া  :: ছোটবড় পাহাড়ি ছড়া ও নদী দিয়ে নামা পাহাড়ি ঢলের পানি এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে নামতে শুরু করেছে। হুমকির মুখে এই হাওরের ২০ সহস্রাধিক হেক্টরের বোরো ধান। ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় হাওর পারের কৃষকরা।

হাকালুকি হাওর তীরের কৃষকরা জানান, গত ২২ মার্চ থেকে হাকালুকি হাওর পাড়ে মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টির সাথে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে হাওরে বোরো ধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারপরও তারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু ক্রমে সে আশা উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রূপ নিয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় হুমকির মুখে এখন বোরো ধান। পাহাড় থেকে নেমে হাকালুকি হাওরে মিলিত হওয়া গোগালিছড়া, ফানাই নদী, জুড়ী নদী ও সুনাই নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল নামছে।

হাকালুকি হাওর তীরের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী.বড়লেখা উপজেলার ৮০ ভাগ বোরো ধান হাকালুকি কেন্দ্রিক। এছাড়া সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ২৫ ভাগ বোরো ধান হাকালুকি হাওরে উৎপাদন হয়। কুলাউড়া উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে এবার বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮ হাজার ৩৮৩ হেক্টর। কিন্তু কৃষকরা আবাদ করেন ৮ হাজার ৫৯০ হেক্টর। জুড়ী উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫হাজার ৫৮৫ হেক্টর। কৃষকরা বোরো আবাদ করেন ৫ হাজার ৯২৫ হেক্টর। এছাড়া বড়লেখা উপজেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ৩৭৩ হেক্টর। কৃষকরা আবাদ করেছেন সমপরিমান জমি।

হাকালুকি হাওর তীরের ৫টি উপজেলা মিলিয়ে বোরো আবাদের পরিমাণ ২০ সহ¯্রাধিক হেক্টর হবে বলে কৃষি অফিসগুলোর দাবি। মাছের পরেই হাকালুকি হাওরের বোরো ধান হাওর তীরের মানুষের জীবিকায়নের অন্যতম উৎস।

হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার জসিম উদ্দিন ও বড়লেখা উপজেলা কৃষি অফিসার মনোয়ার হোসাইন জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনও যদি বৃষ্টিপাত থেমে যায় তাহলে পাহাড়ী নদ নদী ও ছড়া দিয়ে যে পরিমান ঢল নামছে তাতে বোরো ধানের খুব একটা ক্ষতি হবে না। আরও বৃষ্টি হলে ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এখানে পাহাড়ী ঢল নামে হাকালুকি হাওরে। তাই ঢল নামলেই বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews