কাতারে বাংলাদেশি সাম্পান ওয়ালাদের আধিপত্য কাতারে বাংলাদেশি সাম্পান ওয়ালাদের আধিপত্য – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবর গ্রেফতার কমলগঞ্জে ভূমি মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন কুড়িগ্রামে নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারে আলোচনা জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন : সভাপতি ইসহাক আলী, সম্পাদক নুরুল কুলাউড়ায় একটি সরকারি পত্র জালিয়াতির অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ- জুড়ীতে ৮০০ চা শ্রমিককে রেনকোট দিলেন পর্তুগাল প্রবাসী সাচ্চু কুলাউড়ায় অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রধান শিক্ষককের বিদায় সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে জাল টাকা ও ভারতীয় রুপি জব্দ, আটক ১ কমলগঞ্জে ১৪৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ বিতরণ কমলগঞ্জ থেকে উদ্ধার গন্ধগোকুলের শাবক লাউয়ছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত

কাতারে বাংলাদেশি সাম্পান ওয়ালাদের আধিপত্য

  • মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩
এইবেলা, কাতার :: কাতারের রাজধানী দোহা আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের ব্যস্ততম এবং আধুনিক নগরী। যেখানে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় নানা বয়সী কাতারী নাগরিক, অভিবাসী ও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে এই মোহনা। আরব উপসাগরে ভেসে বেড়ানোর জন্য নৌকাভ্রমণের জন্য জড়ো হয় তারা।
দোহায় বিকেলের পর কর্নিশে গেলে দেখা মিলবে সারি সারি আরব সাম্পানের। নানা আকারের এসব সাম্পান কাঠের তৈরি। ওপরে ছাদ ও নিচে দুই পাশজুড়ে চেয়ার। আকৃতি অনুযায়ী ২০-৫০ জন যাত্রী বসতে পারেন একেকটি সাম্পানে। সাগর ভ্রমণের জন্য তৈরি ইঞ্জিনচালিত এসব কাঠের নৌকাকে আরবিতে বলা হয় সাফিনা, কাওয়ারেব অথবা মারকাব। বর্তমানে দোহার কর্নিশে আছে মোট ১২৫টি সাম্পান। এর মধ্যে ১১৫টি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশিরা। প্রতিটি সাম্পানে রয়েছেন চালক, সহায়তাকারী ও ব্যবস্থাপক। তাঁদের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার। নির্ধারিত ভাড়ায় এসব সাম্পান সাগরে ভেসে বেড়ায়। যাত্রীদের কাছ থেকে ঘণ্টাপ্রতি সর্বোচ্চ তিন শ রিয়াল ভাড়া নিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
এক বাংলাদেশী মাঝির তথ্যমতে, কাতারের অন্যান্য খাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ভারতীয় বা অন্যান্য দেশীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়, এখানে তেমন নেই। বরং নির্বিঘ্নে ঝামেলা ছাড়া ব্যবসা করা যাচ্ছে। কাতার সরকারের নীতিমালাও অত্যন্ত পর্যটনবান্ধব। ফলে কোনো অতিরিক্ত কর বা আইনি ঝামেলা নেই এখানে। বিকেল চারটা থেকে রাত দুটা পর্যন্ত নৌকাগুলো যাত্রীদের সেবা দিয়ে থাকে। গরমকালে তাপমাত্রার কারণে যাত্রী ও পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও, অন্য সময় কাজের চাপ বেড়ে যায়।
আরব সাগরের বুকে ঐতিহ্যবাহী এসব সাম্পান ভ্রমনে নানা বয়সের নাগরিক, অভিবাসী ও পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে কর্নিশের এই সাম্পান ঘাটে। বাংলাদেশি সাম্পানওয়ালদের ভীনদেশের সাগরে এরকম বিচিত্র ও দুঃসাহসী পেশা মুগ্ধ ও গর্বিত করে আমাদের।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews