সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : কুলাউড়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মামলায় হয়রানির শিকার কাউন্সিলর শাওন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : কুলাউড়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মামলায় হয়রানির শিকার কাউন্সিলর শাওন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করেপাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ : বনবিভাগ- খাসিয়াদের মধ্যে উত্তেজনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪: কমলগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা কুড়িগ্রামে আপন চাচির বটির কোপে ২ বছরের শিশুর মাথা বিচ্ছিন্ন কুলাউড়ায় মোঃ আব্দুল মতিন স্যার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত কুলাউড়ায় ২ টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা মে দিবসে বড়লেখায় শ্রমজীবীদের মাঝে নিসচা’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ বড়লেখায় ঝড়ে উড়ে গেছে পৌরভবনের চাল-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতহীন বড়লেখায় ব্যবসায়ির ভূমির গাছ চুরি-চার আসামির ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা রাজনগরের ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস সাময়িক বরখাস্ত কুলাউড়ায় ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : কুলাউড়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মামলায় হয়রানির শিকার কাউন্সিলর শাওন

  • শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩

এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৪নং ওয়ার্ডের ৩ বারের কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওন সাবেক স্ত্রী কর্তৃক একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় হয়রানির শিকার বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। তিনি আত্মসম্মান ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে সুবিচার কামনা করেন।

লিখিত বক্তব্যে কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওন জানান, ২০০৫ সালের ২৬ আগস্ট ইয়াছমিন সুলতানার সাথে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই আমি বুঝতে পারি আমার স্ত্রী লোভী এবং পরশ্রীকাতর। বিয়ের দু’এক মাসের মাথায় আমার বিয়েতে দেয়া স্বর্ণালষ্কার আমার অজান্তে বিক্রি করে বাপের বাড়ি দেয়াসহ আমার ক্ষতি করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। যে কারণে আমার সঙ্গে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তালাক সম্পাদন করি। পরবর্তীতে কাজী অফিসের মাধ্যেমে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী তালাক সম্পাদন করার জন্য ৩টি নোটিশ পাঠিয়ে চুড়ান্ত তালাক সম্পাদন করি। সে সময় ইয়াছমিন সুলতানা উনার বাবার বাড়িতে ছিলেন।

চূড়ান্ত তালাক কার্যকর হওয়ার প্রায় ২ মাস পর হঠাৎ করে আমার বাসায় জোরপূর্বক অবস্থানের চেষ্টা করেন। এসময় আমি বাঁধা দিতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর রড দিয়ে হামলা চালান। আমার শরীরে একাধিক আঘাত করেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে আমার বাসায় নিয়ে আসেন এবং জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করেন।

এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে আমার বাসা ত্যাগ করার কথা বললে তিনি শমসের নগরস্থ একটি ভাড়া বাসায় উঠেন। আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ১ মেয়ে ও ১ ছেলে শমসেরনগর বিএএফ শাহীন কলেজে অধ্যায়নরত থাকার কারণে বাচ্চাদের পড়াশোনর স্বার্থে বাসাভাড়াসহ তাদের যাবতীয় ভরণপোষন দিয়ে আসছি।

এদিকে তালাকের পর আমার নামীয় ইন্সুরেন্সের চেক রিসিভ করে পুবালী ব্যাংক কুলাউড়া শাখায় জমা দিয়ে আমার স্বাক্ষর জাল করে চেকের মাধ্যমে দেড় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন। যার প্রমানাদী আমার কাছে রয়েছে।

এদিকে আরেকদফা পুলিশকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী গত ১৩ এবং ১৪ আগষ্ট আমার বাসায় আবারও প্রবেশের চেষ্টা করলে আমি তাতে বাঁধা দেই। এবিষয়ে আমি ১৬ আগস্ট মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৫নং আদালতে মামলাও (নং ৪৫৮/২৩, কুলা) দায়ের করি। আমার আত্মরক্ষার্থে অহেতুক হয়রানী কিংবা মানসম্মান বিনষ্ট যেন না হয় সেজন্য আইনী সহায়তা চেয়ে গত ১৭ আগস্ট মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করি।

পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করার দিন (১৭ আগস্ট) রাতে আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কুলাউড়া থানায় যৌতুক আইনে একটি মামলা (নং-১১) দায়ের করেন। আমি সেই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করি। এদিকে থানায় যৌতুক মামলা রেকর্ডের পর হাইকোর্টের জামিনের জন্য ঢাকা অবস্থানকালে আমার বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে অনাধিকার প্রবেশ করে বাসার সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে ঘরে থাকা মালামাল, নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

শুধু তাই নয় যখন তখন ৯৯৯ ফোন করে বাসায় পুলিশ এনে আমার মানসম্মান নষ্ট করতে চায়। যা খুবই বিভ্রতকর। এসবের একাধিক ভিডিও ফুটেজ প্রমান হিসেবে আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

নিজে বেআইনি কর্মকান্ড করে সর্বশেষ গত ১৯ নভেম্বর ফৌজধারী ধারায় আমার বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে কুলাউড়া থানায়। আদালত এই মামলায়ও জামিন মঞ্জুর করেন। আমি দফায় দফায় মিথ্যা ও হয়ারনিমূলক মামলার শিকার হচ্ছি। আমি সামাজিক মানমর্যাদার ভয়ে অনেক কিছুই নিরবে সহ্য করছি। আমি প্রশাসন ও বিজ্ঞ আদালতের কাছে সু-বিচার আশা করছি।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওনের অভিযুক্ত স্ত্রী ইয়াছমিন সুলতানা জানান, আমিতো মামলা দিয়ে হয়রানি করছি না। আমি একটা মামলা দিছি, সে আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিছে। এমনকি আমার উপর অত্যাচার করছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় আছি। আইনে যা হয় তাই হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews