রতি কান্ত রায়,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::
ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এ বছর ফুলবাড়ী উপজেলার চরঞ্চলের জমিসহ অধীক পরিমান জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। উপযুক্ত পরিচর্যায় ধানের ক্ষেত গুলো সুন্দর ও সতেজ হয়ে ওঠে।
শেষ সার প্রয়োগ করে ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন বুনছিল কৃষকরা । কিন্তু বন্যার পানিতে ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গিয়ে কৃষকের সে স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।
ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিচু জমিসহ নীল কমল নদের পাড়ের ধান ক্ষেত গুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।
গত কয়েক দিনে বিভিন্ন নিচু এলাকার বন্যায় পানি নেমে গেলেও ওয়াবদা বাধের নীলকমল নদের উপর নির্মিত স্যুইট গেট দিয়ে ধীর গতিতে পানি নেমে যাওয়ার কারণে তলিয়ে যাওয়া পূর্ব- ধনিরাম, পশ্চিম ধনিরাম, আমন ক্ষেতগুলো বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে।
ইহা ছাড়াও চরবড়লই, চরবড়ভিটা, চড়মেখলি, চরধনীরাম চরখোঁচাবাড়ি,রাঙ্গামাটি ও উপজেলার সব নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। মৌসুমের শেষে বন্যায় আমন ধানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার পরেও নতুন করে অনেকে ঘুরে দাঁড়িতে বলান বা মজুদ চারা রোপণ করছেন। আবার অনেকেই চারা না পাওয়ায় জমিতে নতুন করে রোপণ করতে পারছে না। পূর্বধনিরাম গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী জানান,তিনি ৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। তার ৪ বিঘায় বন্যায় নষ্ট হয়েছে। চড়া দামে বলান ক্রয় করে আবার নতুন করে চারা লাগিয়েছেন।
শাহালমের ৩ বিঘা ও মোকছেদুল ইসলামের ২ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে। অনেকেই মজুদ চারা ও বলানের অভাবে নতুন করে চারা রোপণ করতে পারেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ বলেন,ফুলবাড়ীতে এবার ১১৭২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। বন্যা পরর্তী ক্ষতি হয়েছে ১২০ হেক্টর, নিমজ্জিত হয়েছে ৯৭০ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রনয়নের নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাসকালাই প্রনোদনা পাওয়া গেছে। খুব শীঘ্রই সরিষাসহ অন্যান্য প্রনোদনা / পুনবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।#
Leave a Reply