কুুড়িগ্রামের ৫৫৪ টি পূজা মন্ডপগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৮৭টি, কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভিতরে ২১টি, নাগেশ্বরী উপজেলায় ৯০টি, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ২০টি, ফুলবাড়ি উপজেলায় ৬৯টি, রাজারহাট উপজেলায় ১২৮টি, উলিপুর উপজেলায় ১১৯টি, চিলমারী উপজেলায় ৩২টি, রৌমারী উপজেলায় ৭টি এবং রাজিবপুর উপজেলায় ১টি পুজো অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের থেকে কুড়িগ্রামে এ বছর ৪৬টি পূজা বেশি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মহামারী করোনার কারণে গত বছরের মতো এ বছরেও দূর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান না হলেও, কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। বাইরে থেকে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সমাগম করতে হবে সীমিত। রাখতে হবে প্রতিটি মন্ডপের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ করতে হবে মন্ডপকে জীবানু নাশক স্প্রে। সেই সাথে মন্ডপে পুরুষ ও নারী দর্শনার্থীদের জন্য রাখতে হবে পৃথক প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, দূর্গাপূজায় মন্ডপের পুরোহিত, ‘আয়োজক কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের সবাইকে মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। পাশাপাশি সূর্যাস্তের আগেই প্রতিমা বির্সজনের বিষয়েও বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘করোনার এই সময় পূজা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে বিষয়ে আমরা সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখবো। এছাড়াও প্রতিবছরের মতো পূজা মন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না এবং গতবছরের মতো এ বছর কোন আনসার সদস্য থাকবে না মন্ডপগুলোতে। তবে ঝুকিপূর্ন কোন মন্ডপ চাইলে আনসার, পুলিশ সদস্য আবেদনের প্রেক্ষিতে রাখতে পারবে।
কুড়িগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবি বোস বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে গতবছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করতে হয়েছিলো। এ বছরেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হবে, তবে গতবছরের চেয়ে এ বছরে ভক্তরা সীমিত পরিসরে পূজোর আনুষ্ঠানিকতা আর আনন্দ উৎসব করতে পারবে।#
Leave a Reply