তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’ তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় ভূমি মেলায় গণশুনানীতে হাজারো আবেদনের নিষ্পত্তি ফুলবাড়ীতে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন রাষ্ট্র কাঠামোতে হাসিনার সেবাদাস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের ডাক কুলাউড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ভারত থেকে অনুপ্রব কমলগঞ্জ সীমান্তে নারী-শিশুসহ ২১ জন আটক কুলাউড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য সমগ্রী বিতরণ এ দেশে সব নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে– ডা: শফিকুর রহমান জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের : কমলগঞ্জে শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা : আটক ৩ কুলাউড়ায় বিএনপির সম্মেলনে হামলা ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ কুলাউড়ায় পুর্বাভাসভিত্তিক আগাম সাড়াদান প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা

তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’

  • মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

ড্রাইভার
তৌহিদুর রহমান

ড্রাইভার নাকি ছোট জাত?
সর্ব লোকে কয়;
তাদের নাকি আচার আচরণ
মোটেই ভালো নয়।

কথায় তারা রুক্ষ অতি,
চোখ দুটো তার লাল;
সবাই বলে তারা নাকি
মদ খেয়ে হয় টাল।

অনেকেতো বলেই ফেলে
বজ্জাত সব তারা;
মেয়ে দেখলেই তারা নাকি
হয়ে যায় টেরা।

দুনিয়ার যত মন্দ কথা,
আসে তাদের মুখে;
টাকা পেলেই তাদের মুখে
হাসি নাকি ফুটে।

মানছি আমি সব কথাই,
তবুও কথা থাকে;
সবার মাঝেই ভালো মন্দ
মিলে মিশে থাকে।

তোমরা সবাই মন্দ টুকুই
দেখলে বড় করে;
বিবেকটাকে নেড়ে দেখ
তারা বাঁচে কেমন করে?

কত শত চাপে থাকে,
কষ্ট সীমাহীন;
এদিক সেদিক হলেই একটু
জীবন হয় বিলীন।

রাস্তায় যখন থাকে তারা
আমাদেরকে নিয়ে;
সবার চাপ একাই সে
বহন করে নিজে।

কেউ বলছে ড্রাইভার ভাই
চালাও আরো জোরে;
আমার আবার তাড়াতাড়ি
অফিস ধরতে হবে।

কেউ বলে ভয় লাগে ভাই,
গতি কমাও দ্রুত;
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি
এইটা আগে বুঝো।

রাস্তায় যখন যানজট হয়,
দাঁড়িয়ে থাকে ঠাঁয়;
একচুল‌ও নড়িবার তার
ক্ষমতা যে নাই।

তুমি আমি সাইকেল বা মোটরসাইকেলে
ফাঁকে ফাঁকে ঢুকি;
কখনো আবার ফুটপাতে
সোজা গিয়ে উঠি।

আর যদি পায়ে চলো
তাহলে তো রাজা;
সাপের মতো এঁকে বেঁকে
সামনে চলো সোজা।

ভেবেছ কি ড্রাইভার যে
বসে আছে ঠাঁয়;
মনের ভিতর তার কতো
ঝড় বয়ে যায়।

মালিককে দিবে জমা,
রাস্তায় আছে কতো চাঁদা;
সব মিটিয়ে তার আয়
হয়ে যায় আধা।

থাকতে হয় খুব সর্তক,
আশেপাশে যত গাড়ি;
একটু দাগ পরলেই
মালিক দিবে জারি।

কখনো কখনো এমনও হয়
দিতে হয় টাকা ;
তা নাহলে চাকুরী তার
যাবে যে কাটা।

ঘরে তার অনেক মুখ
বসে আছে আশায়;
বাজার সদাই হলে কিছু
রান্না যদি চড়ায়।

তার ব‌উটা মা হবে,
টাকা কিছু চাই;
বাচ্চা দুইটা প্রাইভেটে
সেখানেও তাই।

মা-বাবা তার সাথেই খায়,
বয়স হয়েছে;
তাদের‌ও যে মাঝে মধ্যে
চিকিৎসা লাগে।

কিন্তু এখন গাড়ির সংখ্যা
অনেক বেড়েছে;
আগের থেকে আয় অনেক
কমে এসেছে।

ভাবো একবার কতো চাপে
রাস্তায় থাকে সে;
তোমার আমার জীবন নিয়ে
থাকে টেনশনে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews