আব্দুর রব ::
মৌলভীবাজারের বড়লেখার কৃতী সন্তান মোরশেদ মোস্তফা ২০১৮ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলছেন। বোলার হিসাবে দলে সুযোগ পেলেও তিনি মূলত একজন অলরাউন্ডার। তার স্বপ্ন বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট অঙ্গণে মাঠে নেমে নিজের পারফরমেন্স তুলে ধরা।
মোরশেদ মোস্তফার গ্রামের বাড়ি বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে। কুয়েত প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা সারোয়ার জালাল ও আদম নবী মারজিয়া দম্পতির ছেলে মোরশেদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুয়েতেই। ছোটবেলা থেকেই মোরশেদের ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ ছিল। ২০০৬ সালে ক্রিকেটে হাতেখড়ি। কুয়েত অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৯ দলে খেলে তার ক্যারিয়ার শুরু। এরপর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ভালো খেলে কুয়েত জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে আসেন। ২০১৮ সালে পেসার হিসেবে জায়গা করেন জাতীয় দলে। পরের বছর মালদ্বীপের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়।
বোলার হিসাবে দলে জায়গা পাওয়া মোরশেদ মোস্তফা মূলত একজন অলরাউন্ডার। লোয়ার অর্ডারে মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসাবে দলে তার বেশ সমাদর। এখন পর্যন্ত তিনি কুয়েত দলের হয়ে আফগানিস্থান, নেপাল, আরব আমিরাত, ওমান এবং কাতারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।
মোরশেদ মোস্তফা ক্রিকেটের পাশাপাশি কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পার্টটাইম চাকরি করেন। তার স্বপ্ন একদিন তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন। নিজ দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামার ইচ্ছা এই ক্রিকেটারের দীর্ঘদিনের। ১১ জানুয়ারি তিনি এসেছেন বাংলাদেশে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসছেন। তার আসার খবরে অসংখ্য মানুষ বিশেষ করে ক্রিকেটপ্রেমীরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। তিনিও হাসিমুখে সবার সঙ্গে কথা বলছেন, ছবি তুলছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার সঙ্গে দেখা হয়েছে বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান সুয়েব আহমদ এবং ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর।
তাদের সাথে আলাপ চারিতায় মোরশেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। মানুষজন আসছে, দেখা করছে। অনেকে ছবি তুলছে। এলাকার মানুষ অনেক আন্তরিক। এখানে প্র্যাকটিসের সুযোগ পাচ্ছি না। খারাপ লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়েত জাতীয় দলের হয়ে খেলছি ৩ বছর ধরে। নতুন চুক্তিতে আবার আসব। আমার বাবার ইচ্ছেতে দেশে আসছি। বাবা বলেছেন- দেশে ঘুরে আয়। তার কথায় এসেছি। জন্ম কুয়েতে হলেও মনে প্রাণে একজন বাংলাদেশি। আর একজন বাংলাদেশি হিসাবে প্রত্যেকের ইচ্ছে তাকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার। আমারও ইচ্ছে আছে। যদি সুযোগ পাই ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামব।’
উল্লেখ্য, কুয়েত জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুনাম কুড়াচ্ছে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অনুমোদিত সদস্য দেশ ছিল কুয়েত। ২০০৫ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে দেশটি। কুয়েত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সেখানকার ক্রিকেট পরিচালনা।#
Leave a Reply