কুলাউড়ার ভাটেরায় এক শিক্ষার্থীর পরিবার সমাজচ্যুত কুলাউড়ার ভাটেরায় এক শিক্ষার্থীর পরিবার সমাজচ্যুত – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

কুলাউড়ার ভাটেরায় এক শিক্ষার্থীর পরিবার সমাজচ্যুত

  • সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
উচ্চ শিক্ষায় আমেরিকায় গিয়ে ছোট ছোট কাপড়-চোপড় পরেন এবং সেখানে এক হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছেন এমন অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ‘একঘরে’ বা ‘সমাজচ্যুত’ করে দেয়া হয়েছে নুরুননাহার চৌধুরী ওরপে ঝর্ণা চৌধুরীর নামে এক শিক্ষার্থীর পরিবারকে। এ ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়ার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে। এ বিষয়ে ৩১ জানুয়ারি সোমবার কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ঝর্ণা চৌধুরীর পরিবার।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উচ্চ শিক্ষার জন্য গত ২৬ ডিসেম্বর আমেরিকায় যান ঝর্ণা চৌধুরী। ২৭ ডিসেম্বর থেকে স্থানীয় একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এনিয়ে নানা কুৎসা রটান। এরপর ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার স্থানীয় ভাটেরা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটি ঝর্নার বাবা হাজী আব্দুল হাই চৌধুরী গুলাবের বিরুদ্ধে শালিস বৈঠক ডাকেন। কিন্তু তিনি গুরুতর অসুস্থ থাকায় বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি ঝর্ণার বাবা গুলাব। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মাখন মিয়া ও সম্পাদক আমিন মিয়ার নির্দেশে তাদের এক ঘরে করে দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ঝর্ণা চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রে আসাকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু অতি উৎসাহী মানুষ স্থানীয় মসজিদে আমাকে নিয়ে বিচার ডাকেন। আমার বাবাকে সেই বিচারে উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু ৭০ বছর বয়সী আমার বাবার ইতোমধ্যে তিনবার মিনি স্ট্রোক করেছেন। ডাক্তার বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি তার আবার ডিমেনশিয়া (ভুলে যাওয়ার অসুখ) ধরা পড়েছে। তিনি বিচারে না যাওয়ায় অমার পরিবারকে এক ঘরে করে দেয়া হয়েছে। এই খবর পেয়ে আমি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আমিন মিয়াকে জিজ্ঞেস করি আমার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি? জবাবে তিনি বলেন, আমি আমেরিকায় গিয়ে আমার এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী একজনকে বিয়ে করেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া আমার বাবা কেন তাদের নির্দেশ মানেননি, তাই আমার পরিবারকে এক ঘরে করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা মিথ্যা। সামান্য বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, আমাগী ১২ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। সেখানে তাদের উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিষয়টি মিশাংশা করা হবে। তাছাড়া ওসি, ইউনিয়ন চেয়াম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি ঝর্ণার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!