এইবেলা, বড়লেখা::
বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের কাজিরবন্দ বাজারের একটি মার্কেটে শুক্রবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এতে বাজারের ফজলুর রহমান মার্কেটের ছয়টি সেমিপাকা দোকান সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দমকল বাহিনী দীর্ঘ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এর আগেই ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ি পরিবারগুলোর মাঝে 300 কেজি চাল বিতরণ তরেন।
আগুনে ভস্মিভুত দোকানগুলো হচ্ছে, জামিল বস্ত্রবিতান, জামিল ভেরাইটিজ স্টোর ও জামিল পার্টস, বাবুল ভেরাইটিজ স্টোর, আলভি ভেরাইটিজ স্টোর ও সালাম ভেরাইটিজ স্টোর।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার কাজিরবন্দ বাজারের ফজলুর রহমান মার্কেটের দোকানপাটবন্ধ করে ব্যবসায়ী বাড়ি চলে যান। শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে মার্কেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয় লোকজন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের খবর দেন। এসময় কয়েকটি দোকানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়। স্থানীয়রা এলাকার মসজিদের মাইকিং করে আগুন লাগার বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসেও খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই আগুনে ছয়টি দোকানের মালামাল, নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বড়লেখা দমকলের স্টেশন কর্মকর্তা শামীম মোল্লা বলেন, বর্ণি ইউপির কাজিরবন্দ বাজারের একটি মার্কেটের সেমিপাকা ছয়টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। তদন্ত ছাড়া আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
জামিল বস্ত্রবিতান, জামিল ভেরাইটিজ স্টোর ও জামিল পার্টসের স্বত্বাধিকারী নূর হোসেন শুক্রবার বিকেলে জানান, রাতে সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকাল ছয়টার দিকে এলাকার মসজিদে দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি আগুনে মার্কেট পুড়ছে। তিনটি দোকান পুড়ে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানিনা। তবে মনে হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বাবুল ভেরাইটিজ স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাবুল আহমদ বলেন, আগুনে আমার সব পুড়ে গেছে। এখন আমরা নিঃস্ব। দোকান পুড়ে আমার প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আলভি ভেরাইটিজ স্টোরের স্বত্বাধিকারী খালেদ আহমদ বলেন, দোকানটি তিলে তিলে গড়েছি। কিন্তু সর্বনাশা আগুন সব কেড়ে নিয়েছে। আগুনে দোকান পুড়ে আমার ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply