বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার গজভাগ গ্রামের একফসলি জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে আবাদকৃত বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি। বুধবার বিকেলে তিনি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার যন্ত্রের সাহায্য এই ধান কর্তনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
এ উপলক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে গজভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। দক্ষিণভাগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আপ্তার আহমদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী, বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, সহকারি কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, কৃষক লালই মিয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, কৃষি বিভাগ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে গজভাগ গ্রামের এক ফসলি ৫০ একর জমিতে একসাথে একই সময়ে চাষ ও একই সময়ে ফসল কাটার সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কৃষকরাও নতুন এই পদ্ধতিতে আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসেন। এই প্রকল্পে যুক্ত হন ৬৬ প্রান্তিক জন কৃষক। এই পদ্ধতিতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের হালিচারা ও সার প্রদান করে। গত ৩১ জানুয়ারি সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকের মাঝে একটি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার বিতরণ এবং রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো আবাদ করা হয়। এ প্রকল্পে কৃষি বিভাগের ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়।
বড়লেখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার বলেন, ‘৫০ একরে বোরো বøক প্রদর্শনীতে প্রথমে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে রোপন হয়েছিল। চৈত্রের প্রথম দিকে খালের পানি কমে যাওয়ায় কিছুটা অসুবিধা হয়েছিল। ৫০ একরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ধানে ১৩২ মেট্রিক টন। ধান কাটা পুরোপুরি শেষ হয়নি। আশা করছেন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। খাল খনন করে এই বছর প্রথম এখানে বোরো ফসল ফলানো হয়েছে। আগে এখানে একটি ফসল হতো আমন। এবার প্রথম বোরো ফসল হয়েছে। বোরোর পর আউশ চাষ করা হবে। আমরা ৬৬ জন কৃষককে প্রদর্শনী দিয়েছিলাম। তাদের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আমরা বিনামূল্যে আউশের বীজ ও সার দিয়েছি। যাতে বোরো কর্তনের পর পরই জমি পতিত না রেখে তারা আউশ আবাদ করতে পারেন। কৃষি বিভাগ এক ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমি রুপান্তর লক্ষ্যে কাজ করছে। এলাকার কৃষকরাও আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করছেন।’
Leave a Reply