এইবেলা ডেক্স ::
লোকসানের বোঝা আর বইতে না পেরে অনেকটা পথে বসার উপক্রম হয়েছে খামারি নুরুল ইসলাম মোমিনের। লেখা-পড়া করে অন্য আট-দশজনের মতো প্রবাসে পাড়ি না জমিয়ে নিজের দেশে থেকে ব্যবসা করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সে লক্ষ্যে ৯ বছর আগে কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের রংগীরকুল এলাকায় নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছিলেন ‘মোমিন পোলট্রি ফার্ম’।
কয়েক বছর চলছিলো মোটামুটি ভালই। পরবর্তীতে মোরগের খাবার, ঔষধসহ সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেড়ে যায় এবং মাংসের দাম খরচ মোতাবেক কমে যাওয়ায় লোকসান দেখা দেয়। বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই তার ফার্মেও অচলাবস্থা শুরু হয়। ধারদেনা আর লোকসানের বোঝা এতই ভারী হয়েছে, যা তিনি আর বইতে পারছেন না।
নুরুল ইসলাম মোমিন নামক তরুণ ওই উদ্যোগক্তা জানান, ২০১১ সাল থেকে পোলট্রি ফার্মটি শুরু করেন। প্রথম কয়েকবছর লাভ-লোকসানের ভারসাম্য নিয়ে মোটামুটি চলছিলো ব্যবসা। কাঙ্খিত স্বপ্নপূরণ না হলেও খাওয়া-চলার যোগান হচ্ছিল ফার্ম থেকে। কিন্তু পরবর্তীতে মোরগের খাবার, ঔষধসহ সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেড়ে যায় এবং মাংসের দাম খরচ মোতাবেক কমে যাওয়ায় লোকসান দেখা দেয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়াবহ। পোলট্রির খাবারসহ সংশ্লিষ্ট সবকিছুর দাম উর্ধ্বমূখি, কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে সে পরিমান দাম পাচ্ছিনা। বাজারদর নিম্নমূখি থাকার কারনে প্রতিপিছ মোরগেই ৪০ থেকে ৬০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে। বর্তমানে ফার্মে প্রায় ৩ হাজার মোরগ আছে। কিন্তু না রাখতে পারছেন, না বিক্রি করতে পারছেন। পড়েছেন বিপাকে।
মোমিন জানান, ১ দিনের একটি বাচ্চা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। একমাসে বিক্রয় উপযোগী করে তুলতে সর্বসাকুল্যে খরছ হয় আরও ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। একমাস পরে একটি মোরগে দেড় থেকে ২ কেজি ওজন হয়। কিন্তু বর্তমান বাজারে খরছ মোতাবেক দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। যারফলে প্রতিটি মোরগই ৪০ থেকে ৬০ টাকা লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে গত ৪-৫ বছর থেকে ধারদেনা করতে করতে আজ অনেকটা নিঃস্ব তিনি।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply