গোপালকে দেখাচ্ছে আজ খুবই হাসি-খুশি;
না জানি কী নিয়ে সে বাজায় আবার বাঁশি!
রাজ দরবার সরব আজ, চেয়ার ছাড়া নিয়ে;
গোপালও খোশমেজাজে, যেন কারো বিয়ে।
একের পর এক হচ্ছে বলি, শুধুই চুনোপুঁটি ;
এখনো কেন যাচ্ছে না ধরা, বোয়ালের টুটি?
তবুও কিছু হচ্ছে দেখে, গোপালও পাচ্ছে সাহস;
রাজাও হাঁটছেন ধীরে লয়ে, যেন একটা তাপস!
গোপাল তবুও হাল ছাড়ে না, শেষ দেখার চলে;
কেউবা এখন খাচ্ছে ধরা, অভিযান চলছে বলে।
কেউবা যখন ধরাশায়ী, কেউ লাগিয়ে আাঠা;
আসলে কে অপরাধী, কে হচ্ছে বলির পাঁঠা?
মাঝে মাঝে গোপালও যেন পায় না খুঁজে হদিশ;
ভেবে-চিন্তে অস্থির হয়, বের করতে সব খবিশ!
একটা সময় রাজামশাই, ছাড়তে চাইলো হাল;
গোপাল এসে বাধ সাধলো, দিতে হবে সামাল।
গোপাল আর রাজামশাই, নিলো দৃঢ় শপথ;
হালটা ছেড়ে রাজ্যটাকে, ফেলবে না বিপথ।
শপথ নিয়ে নতুন দমে, করলো শুরু যাচাই;
একে একে দ্রুতলয়ে, করলো তথ্য বাছাই।
কেঁচো খুঁড়তে পেলো যেন, কালসাপের দেখা;
বিষধর সব সাপের ফনায়, উন্নয়ন পড়ে ঢাকা।
ওদের ধরতে গোপাল চাইলো, ডাকতে দক্ষ ওঝা;
রাজা বললো, ‘কী দরকার? আমিই দিবো সাজা’।
রাজা সাজলো দক্ষ ওঝা, বাজালো কঠোর বীণ;
সব সাপকে খাঁচায় আটকে, শোধ করলো ঋণ।
ধন্য রাজার পূন্যের রাজ্যে, প্রজারা হলো খুশি;
মনের সুখে গোপাল এখন, বাজায় শুধু বাঁশি।
Leave a Reply