এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর-ভাগমতপুর গ্রামে এলজিইডি’র সরকারি পাকা রাস্তাটি দখল করে মাসুক মিয়া নামক এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রাস্তাটি দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ বরেছেন স্থানীয় লোকজন।
অভিযোগ সূত্রে এবং স্থানীয় হাসিমপুর ও ভাগমতপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম মাজু, শামিম আহমদ, এনায়েত হোসেন, মোঃ রানু মিয়া, সুজা মিয়া, একেএম নিয়ামুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কাদিপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাসুক মিয়া হাসিমপুর এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকা দিয়ে সড়কের পাশে কুলাউড়া-ভূকশিমইল ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ সড়কের হাসিমপুর মুক্তার দোকান থেকে ভায়া পূর্বমুখী রাস্তা রয়েছে। সেই এলাকায় তাদের বাড়িটি পৈত্রিক জায়গায় নির্মাণ করা হলেও বাড়ির দক্ষিণপাশ্র্বের সরকারি রাস্তার জায়গা দখলে নিয়ে এক পাশে পাকা করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করতে থাকেন। এই রাস্তাটি স্থানীয় হাসিমপুর, ভাগমতপুর, গুপ্তগ্রামের কয়েক হাজার লোকজন চলাচল করেন। এছাড়া হাসিমপুর দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরাও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। প্রাচীর নির্মাণের শুরু থেকেই ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী গ্রামবাসী সরকারি রাস্তা দখল থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করলেও তিনি কাজ বন্ধ না রেখে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারি রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রবাসী মাসুক মিয়া জানান, সরকারি রাস্তার ১২ ফুট জায়গা বাকি রেখে আমার মালিকানাধীন জায়গায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করছি। একসময় এই রাস্তাটি ৬ ফুটের ছিল। পরবর্তীতে গ্রামের লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে ওই সড়কের আশপাশের লোকজন জায়গা দিয়ে রাস্তাটি বড় করেছেন। এখন এলাকার কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান জানান, রাস্তা দখল করে সরকারি জায়গার ওপর প্রাচীর নির্মাণের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। এসময় প্রাচীর নির্মাণের সত্যতা পেয়ে ওই ব্যক্তিকে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে দেখার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন তিনি ওই সরকারি রাস্তার ম্যাপসহ প্রাচীর নির্মাণকারী ব্যক্তির কাগজাদি যাচাই করে দেখে এখানে প্রাচীর নির্মাণ করা যাবে কি যাবে না সেটির প্রতিবেদন আমার কাছে দিবেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #
Leave a Reply