এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখায় হতদরিদ্র মায়েদের জন্য সরকারের চালু করা মাতৃত্বকাল ভাতার তালিকায় বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানগন উপকারভোগী বাছাইয়ে সরকারী নীতিমালা অগ্রাহ্য করে ইউপি মেম্বারের স্ত্রী, কন্যা ও সচ্ছলদের অর্ন্তভুক্ত করেছেন। জনপ্রতিনিধিদের স্বজনপ্রীতির কারণে প্রকৃত হত দরিদ্র মহিলারা ভাতা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা এলাকায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য নতুন সর্বমোট ১১২০ জন হতদরিদ্র মাকে ২ বছর মেয়াদে প্রতিমাসে ৮০০ টাকা করে মাতৃত্বকাল ভাতার জন্য নির্বাচন করা হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ২০১১ সালে সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী কেবল বসতবাড়ি রয়েছে, অন্যের জায়গায় বসবাসকারী, নিজের বা পরিবারের কৃষি জমি বা মৎস্য চাষের পুকুর নেই এমন অধিকতর দরিদ্র গর্ভবতী নারীকে উপকারভোগী নির্বাচনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু অনেক ইউপি চেয়ারম্যান এ নীতিমালার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের পরিষদের মেম্বারের স্ত্রী, কন্যা, পছন্দের প্রবাসীর স্ত্রী ও স্বচ্ছলদের মাতৃত্বকাল ভাতায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন। এতে প্রকৃত হতদরিদ্র নারীরা সরকারী ভাতা প্রাপ্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তালিমপুর ইউনিয়নের ৮২ জন নতুন নারীকে মাতৃত্বকাল ভাতায় অর্ন্তভুক্ত করেন ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস। এদের অনেকেই গত ৩০ জুলাই সোনালী ব্যাংক থেকে ১ বছরের ভাতা উত্তোলন করেছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আতিকুর রহমান সোয়াগের স্ত্রী তামান্না বেগম, ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ডলি বেগমের মেয়ে বাবলি আক্তার, তালিমপুর গ্রামের উচ্চবিত্ত ফয়ছল আহমদের স্ত্রী জোহরা বেগম, গোপালপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী নাছিমা বেগমসহ অনেক সচ্ছল পরিবারের নারীরা দরিদ্রদের জন্য চালু করা মাতৃত্বকাল ভাতা পেয়েছেন। মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদানে চরম অনিয়ম শুধু তালিমপুর ইউনিয়নেই নয়, অন্যান্য ইউনিয়নেও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস জানান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার চিঠি পেয়ে ভাতাভোগী গর্ভবতী মহিলাদের নাম দেয়ার জন্য তিনি ইউপি মেম্বারদের অনুরোধ করেন। নীতিমালা অনুযায়ী উপকারভোগী খোঁজে না পাওয়ায় তারা হয়ত পরিচিত ১/২ জনের নাম দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি নীতিমালা অনুযায়ীই উপকারভোগী সিলেকশন করবেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামছুন্নাহার জানান, নীতিমালা অনুযায়ী উপকারভোগী নির্বাচন করে তালিকা প্রদানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয়া হয়। তাদের পাঠানো তালিকা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকেই চুড়ান্ত উপকারভোগী নির্বাচন করে ভাতার টাকা তাদের স্ব ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে জনবল সংকট থাকায় প্রত্যেক ইউনিয়নের তালিকা যাচাই বাছাই সম্ভব হয় না। চেয়াম্যানগণ তালিকা প্রনয়নে কোন অনিয়ম করলে এর দায় তাদেরকেই নিতে হবে। তবে অভিযোগ পেলে তিনিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।#
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085
Leave a Reply