এইবেলা, কুলাউড়া :: পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় এবং হীড বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত সমন্বিত কৃষি ইউনিটের (কৃষি খাত) আওতায় কুলাউড়া উপজেলার বৈদ্যশাসন গ্রামে গ্রীষ্মকালীন ব্ল্যাক বেবী জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন সবিতা রানী মালাকার। তিনি হীড বাংলাদেশ মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচি কুলাউড়া শাখার বৈদ্যশাসন গ্রামের চলন্ত মহিলা সমিতির একজন দরিদ্র সদস্য। তাকে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের জন্য কৃষি উপকরণের জন্য ১৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। তিনি হীড বাংলাদেশ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল সিকদারের পরামর্শে মাঠ পর্যায়ে ২৫ শতাংশ জমি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন।
সবিতা রানী মালাকার জানান, ২৫ শতাংশ জমিতে গ্রীষ্মকালীন ব্ল্যাক বেবী তরমুজ চাষ করতে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, ২৫ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাক বেবী জাতের ৭০০ পিচ তরমুজ বিক্রি করেছেন। মাত্র ৭০-৮০ দিনে ২৫ শতাংশ জমি থেকে ৭০০ পিচ তরমুজ বিক্রি করে তার আয় হয়েছে ১ লক্ষ টাকার মতো। মালচিং পেপার ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করতে পানি সেচ ও শ্রমিক খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশী হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের এ সফলতা দেখতে আশে পাশের লোকজন তার বাড়িতে আসেন এবং তিনি সকলকে আগামীতে গ্রীষ্মকালীন ব্ল্যাক বেবী জাতের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। সবিতা রানী মালাকার বলেন, তিনি আগামীতে আরও বড় পরিসরে গ্রীষ্মকালীন ব্ল্যাক বেবী জাতের তরমুজ চাষ করবেন। তিনি হীড বাংলাদেশ সমিতির সকলকে গ্রীষ্মকালীন ব্ল্যাক বেবী জাতের তরমুজ চাষের আহ্বান জানান। তিনি সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি কর্মকর্তাকে কারিগরি পরামর্শ দিয়ে সফলতার জন্য ও আর্থিকভাবে সহযোগিতার জন্য হীড বাংলাদেশ কুলাউড়া শাখার সকলকে ধন্যবাদ জানান।
হীড বাংলাদেশ কুলাউড়া কৃষি ইউনিটের কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল সিকদার বলেন, আমরা চাই আমাদের সমিতির সদস্যরা বেকার না থেকে তারা কৃষি কাজ করে যেন সাফল্য অর্জন করে। সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগীতার প্রয়োজন হবে আমরা তা করবো।
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের কৃষি পরামর্শ দিয়েছি। আগামীতে এ রকম তরমুজ চাষ করলে কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগীতা করব।###
Leave a Reply