স্টাফ রিপোর্ট::
মৌলভীবাজারের জুড়ী তৈয়বুন্নেছা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ২য় বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহমান তামবির (১৮)কে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র তামবির সোমবার (২২ মে) বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (সি.আর-১০৪/২০২৩) দায়ের করেছে। বিজ্ঞ আদালত আগামী ১৮ জুলাই তদন্তপূর্বক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই মৌলভীবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার সুড়িকান্দি গ্রামের মাহবুবুর রহমানের পুত্র আব্দুর রহমান তামবির গত ১৩ মে এইচএসসি পরীক্ষার কাগজপত্র ফটোকপি করার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়ে দাশেরবাজারে গিয়ে ফটোকপি করে বাড়ি ফিরছিলেন। দাশের বাজার গ্রামীণব্যাংক শাখার সামনে পৌঁছা মাত্র আগে থেকে একটি গাড়ী নিয়ে উৎপেতে থাকা একই গ্রামের হক্কুল ইসলামের নির্দেশে তারই পুত্র ফরহাদ (২২), আল আমিন (২০), মৃত হাছন রাজার পুত্র বদরুল ইসলাম (৫০) ও নুরুল ইসলাম (৫৫) গাড়ী থেকে নেমে পথরোধ করে দাঁড়ায়। তামবির কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আসামীরা তাকে ঝাঁপটে ধরে গাড়িতে উঠিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় গাড়ী থেকে নামিয়ে তামবিরের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মাটিতে ফেলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ডান হাতে রক্তাক্ত জখম হয়। এক পর্যায়ে আসামীরা লাঠিসোটা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে নগদ টাকা ও একটি আইফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে আসামীরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে পুলিশ এনে তামবিরকে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ তাকে ৫৫১ ধারায় আদালতে চালান দেয়। খবর পেয়ে তামবিরের পিতা মাহবুবুর রহমান তাকে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কলেজ ছাত্র তামবির তার উপর নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। সে জানায়, সন্ত্রাসীরা একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। তারা খুুবই প্রভাবশালী এবং এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। সে তার উপর বর্বর নির্যাতনের বিচার দাবী করেছে।
Leave a Reply