বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী বারে অনধিকার প্রবেশ করে একজন আইনজীবীকে অশ্লীল গালিগালাজ, প্রাণনাশের হুমকি, ফাইলপত্র তছনছ ও চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তির নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে মামলাটি করেছেন এই আদালতের ভুক্তভোগী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান। আসামীরা হলেন- কুলাউড়া উপজেলার পূর্ব-মনসুর গ্রামের মৃত ছিদ্দেক আলীর ছেলে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চুরিসহ অন্তত ২০ মামলার আসামী সুন্দর আলী ও বড়লেখা উপজেলার জনৈক সুমন আহমদ।
মামলার শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক আসামীদের বিরুদ্ধে আদেশ জারি করেছেন।
জানা গেছে, আসামী সুন্দর আলী ২৬ এপ্রিল ৪/৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আদালত ভবনের সম্মুখে এসে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের নাম ধরে অশ্লীল গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের ঘোষণা দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। পরে আইনজীবী বারে অনধিকার প্রবেশ করে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানকে না পেয়ে বার অফিসে রক্ষিত আলমিরার ফাইলপত্র তছনছ করে। বারের স্টাফদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং আরেকজনের গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় আদালতের আইনজীবি ও আইনজীবি সহকারিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান রোববার সন্ধ্যায় জানান, গত ৭ জুন মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যকরি কমিটির নেতৃবৃন্দ বড়লেখা আদালতে এসে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন। পরে উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শেই তিনি মামলাটি করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে আদেশ জারি করেছেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারি হুমায়ুন কবির এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের ও আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ জারির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply