এইবেলা, বড়লেখা :
বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (চৌকি আদালত) জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ ধসে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন আদালত পুলিশের জি.আর.ও পিযুষ কান্তি দাস। ছাদের পলেস্তোরা ধসে পড়ে নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন মামলার জরুরি ফাইল ও আসবাবপত্র। শুক্রবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঘটনাস্থল (জি.আর.ও কার্যালয়) পরিদর্শণ করেছেন।
৪০ বছরের পুরনো ভবনের ছাদ, দেয়াল, পিলার ও ভীমে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিপূর্বে হাজতখানার দুই দিকের সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। এজলাস, জি.আর.ও কার্যালয়, এপিপি কার্যালয়, হাজতখানা, পুলিশ ব্যারাকসহ প্রতিটি কক্ষের ছাদ ও দেওয়াল খসে পড়ছে পলেস্তোরা। কয়েক বছর ধরেই ব্যবহার অনুপযোগী জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট, কর্মকর্তা-কর্মচারি, পুলিশ ও আইনজীবিরা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে বড়লেখায় আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে সরকারী আদেশে উপজেলা আদালত প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালে দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সরকারী সিদ্ধান্তে প্রায় ১২ বছর অরক্ষিত থাকা ভবনে বড়লেখা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়। ইতিপূর্বে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তোরা অনেকের উপর ভেঙ্গে পড়েছে। এমনকি বিচারকার্য চলাকালিন ছাদের পলেস্তোরা-খোয়া ভেঙ্গে আইনজীবিদের মাথায় পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আদালত ভবনের হাজতখানার উত্তর ও পশ্চিম দিকের সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। হাজতখানার দেয়ালও অনেক জায়গায় হেলে গেছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে কোর্ট পুলিশ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে।
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডেমেজ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জি.আর.ও কার্যালয়ের ছাদের ব্যাপক পলেস্তোরা ও খোয়া ধসে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় জি.আর.ও চেয়ারে না থাকায় তিনি বেঁচে গেছেন। জরুরী ভিত্তিতে নতুন আদালত ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী বরাবরে ডিও পাঠিয়েছেন।
Leave a Reply