বড়লেখার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মার্ট আইডিকার্ড ও সনদ হস্তান্তর – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখার ছিদ্দেক আলী হাইস্কুলের ‘শতবার্ষিকী’ উদযাপনে কমিটি হিনাইনগর যুবসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুনিজন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের ৫৩ তম রিক্রুটদলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান বড়লেখা-জুড়ী নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কর্মবিরতি : জনভোগান্তি মৌলভীবাজারে সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে : নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব ছাতকে ইউএনও তরিকুল ইসলাম বিদায় নতুন ইউএনও ডিপ্লোমেসি চাকমার যোগদান কুলাউড়ার শরীফপুরে সড়কে প্রাণ গেলো ২ মোটরসাইকেল আরোহীর  বড়লেখায় আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষে ৫ অদম্য নারীকে সম্মাননা বড়লেখায় আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা

বড়লেখার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মার্ট আইডিকার্ড ও সনদ হস্তান্তর

  • বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪

Manual3 Ad Code

বড়লেখা প্রতিনিধি:

Manual3 Ad Code

মহান মুক্তিযোদ্ধকালিন বড়লেখার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম শামসুন নাহারকে স্মার্ট পরিচয়পত্র ও মহান মুক্তিযোদ্ধে তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সনদপত্র প্রদান করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের ৫০ বছর পর ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন তালিকার ১০৪ নম্বরে তাঁর নাম প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম এই বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে তাঁর স্মার্ট পরিচয়পত্র ও সনদপত্র তোলে দেন।

Manual4 Ad Code

জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম শামসুন নাহার ১৯৫৫ সালে বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেকাহালি গ্রামে এক রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।পিতার নাম আইয়ুব আলী। বিয়ে হয় বর্ণি ইউনিয়নের সৎপুর গ্রামের আরেক সম্ভান্ত পরিবারে। তাঁর স্বামী মোজতবা উদ্দিন বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী দুইবারের সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের ছোটবোন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলে সিরাজুল ইসলাম মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের টার্গেটে ছিলেন তিনি ও তার পরিবার। যার ফলে মুক্তিযোদ্ধের সুচনা লগ্নেই সিরাজুল ইসলাম তার মা তসলিমা খাতুন এবং দুই বোন শামসুন নাহার ও শামীমা আক্তার রাবেয়াকে ভারতে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নিলাম বাজার ক্যাম্পে তারা যুদ্ধকালীন দীর্ঘ নয় মাস অবস্থান করেন।

Manual1 Ad Code

ওই ক্যাম্পে ২৫-৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এ ছাড়া ট্রেনিং শেষে এই ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা জড়ো হতেন এবং এখান থেকেই তাদের বিভিন্ন সেক্টরে যুদ্ধের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হতো। আহত মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্যাম্পে আশ্রয় নিতেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও রান্নাবান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতেন শামসুন নাহার ও তার মা। তাদের সঙ্গে আনোয়ারা বেগম নামে বড়লেখার এক চা বাগানের চা শ্রমিকও ছিলেন।

জীবন সায়াহ্নে মহান মক্তিযোদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রের দেওয়া পরিচয়পত্র ও সনদ প্রাপ্তির অনুভুতি জানাতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম শামসুন নাহার জানান, এই দেশের স্বাধীনতা অর্জনে তিনি যে সামান্যতম অবদান রাখতে পেরেছেন এতেই তিনি সীমাহীন গর্বিত। আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্মার্ট পরিচয়পত্র ও মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র হাতে পাওয়ার ভালো লাগার, শান্তির অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। শুধু এইটুকু বলবেন খুবই ভাল লাগছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!