বড়লেখার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মার্ট আইডিকার্ড ও সনদ হস্তান্তর বড়লেখার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মার্ট আইডিকার্ড ও সনদ হস্তান্তর – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা বড়লেখায় পৌর যুবদল নেতার মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের ইন্তেকাল : শোক প্রকাশ নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে

বড়লেখার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মার্ট আইডিকার্ড ও সনদ হস্তান্তর

  • বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪

বড়লেখা প্রতিনিধি:

মহান মুক্তিযোদ্ধকালিন বড়লেখার একমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম শামসুন নাহারকে স্মার্ট পরিচয়পত্র ও মহান মুক্তিযোদ্ধে তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সনদপত্র প্রদান করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের ৫০ বছর পর ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন তালিকার ১০৪ নম্বরে তাঁর নাম প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম এই বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে তাঁর স্মার্ট পরিচয়পত্র ও সনদপত্র তোলে দেন।

জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম শামসুন নাহার ১৯৫৫ সালে বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেকাহালি গ্রামে এক রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।পিতার নাম আইয়ুব আলী। বিয়ে হয় বর্ণি ইউনিয়নের সৎপুর গ্রামের আরেক সম্ভান্ত পরিবারে। তাঁর স্বামী মোজতবা উদ্দিন বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী দুইবারের সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের ছোটবোন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলে সিরাজুল ইসলাম মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের টার্গেটে ছিলেন তিনি ও তার পরিবার। যার ফলে মুক্তিযোদ্ধের সুচনা লগ্নেই সিরাজুল ইসলাম তার মা তসলিমা খাতুন এবং দুই বোন শামসুন নাহার ও শামীমা আক্তার রাবেয়াকে ভারতে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নিলাম বাজার ক্যাম্পে তারা যুদ্ধকালীন দীর্ঘ নয় মাস অবস্থান করেন।

ওই ক্যাম্পে ২৫-৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এ ছাড়া ট্রেনিং শেষে এই ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা জড়ো হতেন এবং এখান থেকেই তাদের বিভিন্ন সেক্টরে যুদ্ধের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হতো। আহত মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্যাম্পে আশ্রয় নিতেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও রান্নাবান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতেন শামসুন নাহার ও তার মা। তাদের সঙ্গে আনোয়ারা বেগম নামে বড়লেখার এক চা বাগানের চা শ্রমিকও ছিলেন।

জীবন সায়াহ্নে মহান মক্তিযোদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রের দেওয়া পরিচয়পত্র ও সনদ প্রাপ্তির অনুভুতি জানাতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম শামসুন নাহার জানান, এই দেশের স্বাধীনতা অর্জনে তিনি যে সামান্যতম অবদান রাখতে পেরেছেন এতেই তিনি সীমাহীন গর্বিত। আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্মার্ট পরিচয়পত্র ও মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র হাতে পাওয়ার ভালো লাগার, শান্তির অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। শুধু এইটুকু বলবেন খুবই ভাল লাগছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews