বড়লেখা প্রতিনিধি:
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে শনিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী বারুণী স্নান (পূণ্যস্নান) ও বারুণী মেলায় পূণ্যার্থীদের ঢল নামে। প্রতি বাংলা বছরের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশ তীথিতে এই বারুণী স্নান ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি কুণ্ডের পানিতে পূণ্যস্নান করেন দূরদূরান্ত থেকে আগত সনাতন ধর্মের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। মাধবকুন্ড উন্নয়ন পরিচালনা কমিটি ও বনবিভাগের দাবি অনুকুল আবহাওয়া ও দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার রেকর্ড সংখ্যক (অন্তত অর্ধলক্ষ) পূর্ণার্থী মাধবকুণ্ডে বারুণী স্নানে অংশ নিয়েছেন।
শোঁ শোঁ শব্দে পাথুরের চূড়া থেকে ২০০ ফুট নিচে জলধারা গড়িয়ে পড়ছে। পর্যটক ও পূণ্যার্থীরা চন্দ্রাকৃতির মতো প্রকৃতির নয়নাবিরাম দৃশ্য উপভোগ করে হৈ-হুলোড়ে মেতে উঠে কুণ্ডের পানিতে নেমে পূণ্যস্নান করছেন। বেলা বাড়ার সাথে জলপ্রপাতের নিচের তিল ধারণের জায়গাটুকুও যেন পূণ্যার্থীদের পদভাবে ভরে উঠে। মাধবকুণ্ডের হাজার হাজার পূণ্যার্থী ও পর্যটকের আগমন ঘটলেও পর্যটন পুলিশ, বন বিভাগ ও থানা প্রশাসনের যৌথ তৎপরতায় মাধবকুণ্ডে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বারুণী স্নান ও বারণী মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাধবকুন্ডে ভিড় করেছেন। সাথে পর্যটকদের হুই হুল্লোড়ে অন্যরকম এক পরিবেশ বিরাজ করছে। বাস, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত কার, আটোরিকশা, সিএনজি এমনকি ট্রাক-পিক আপে করেও পূণ্যার্থী ও পর্যটকরা এসেছেন। অনেকেই কুণ্ডের পানিতে স্নান শেষে সেখান থেকে কিছু পানি সাথে করে নিয়ে যাচ্ছেন রোগ মুক্তির আশায়। আগতরা স্নান শেষে মাধবেশ্বর মন্দিরে নিজের মনবাসনা পূরণে পূজা দিয়ে যান। বারুনী স্নান উপলক্ষে জলপ্রপাত এলাকায় বসে বারুনী মেলা। মেলায় দেশীও তৈরির জিনিস পত্রের সমারোহে জমঝমাট হয়ে উঠে।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, মাধবকুণ্ডে বারুনী স্নান উপলক্ষে পুলিশ সুপার স্যারের দিক নির্দেশনায় পূণ্যার্থী ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সার্বক্ষণিক নজরদারীর কারণে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসবমূখর পরিবেশে আগতরা পূণ্যস্নান ও মেলায় অংশগ্রহণ করছেন।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply