বড়লেখা প্রতিনিধি
বড়লেখা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রথমধাপে আজ বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের সংশয় রয়েছে। কারণ প্রশাসন ৬৯টি ভোট কেন্দ্রের ২৯টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তবে নির্বেঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে থাকছেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স। পাশাপাশি সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জনপ্রার্থী থাকলেও মূলত ঘোড়া, মোটরসাইকেল ও আনারসের মধ্যে লড়াই হবে। তবে এসব ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। তারা জানান, তারা চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে। কিন্তু সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ হবে কি-না কিংবা একই দলের চারজন প্রার্থী হওয়ায় তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা হবে কি-না তা নিয়ে তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। অবশ্য পরিবেশ শান্তিপূর্ণ না হলে অনেকেই ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ (ঘোড়া প্রতীক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর (আনারস প্রতীক), আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে আসা আজির উদ্দিন (মোটর সাইকেল প্রতীক) ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমদ হাসান (উট প্রতীক)।
এছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি তাজ উদ্দিন (টিয়াপাখি), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস নান্টু (টিউবওয়েল), তালামীয নেতা সামছুল ইসলাম (তালা) এবং জমিয়ত নেতা আবিদুর রহমান পেয়েছেন (চশমা)। এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় রাহেনা বেগম হাসনাকে ইতিপূর্বে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানান, সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁিকপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে এরমধ্যে ২৯টি ভোট কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁিকপুর্ণ চিহ্নিত করে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন।
Leave a Reply