এইবেলা, বড়লেখা :
বড়লেখায় বন্যায় বিদ্যুৎলাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠার দোহাই দিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি শুক্রবার পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকার ৮ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এতে হাজার হাজার পানিবন্দী পরিবার অন্ধকারে আরেক ভোগান্তিতে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কোনো ধরণের আগাম নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ধনি-দরিদ্র সকল শ্রেণির মানুষের ঈদের কোরবানির মাংস ফ্রিজে পচে নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বন্যাক্রান্ত এলাকায় গণহারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় চুরি-ডাকাতিরও আশংকা করছেন ভোক্তভোগিরা।
জানা গেছে, পল্লীবিদ্যুতের বড়লেখা জোনাল অফিসের আওতাধীন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বুধবার হঠাৎ কোনো ধরণের আগাম বার্তা ছাড়াই উপজেলার তালিমপুর, সুজানগর, বর্নি, দাসেরবাজার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। এতে অনেকের ফ্রিজে রাখা কোরবানির মাংস পচতে থাকে। শুক্রবার পর্যন্ত পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি তালিমপুর, সুজানগর, বর্নি, দাসেরবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রথমে ৫ হাজার ৫শ’ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। শুক্রবার আরো ১৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।
সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের কোনো ধরণের অবহিত না করে গণহারে তার ইউনিয়নের কয়েকশ’ গ্রাহকের বিদ্যুৎলাইন কেটে দিয়েছে। এসব মানুষের ফ্রিজে রাখা লাখ লাখ টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে, চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বন্যাদুর্গত পানিবন্দী মানুষজন। বন্যায় ২/৪টি লাইন হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। তাই বলে সব লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া কি ধরণের সমাধান। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এলাকায় চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি ও আইন শৃঙ্খলার অবনিত ঘটলে এর দায় দায়িত্ব পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিকেই নিতে হবে। তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান জানান, একেতো পানিবন্দী মানুষজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার উপর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের না জানিয়ে তার ইউনিয়নের গ্রামকা গ্রাম অন্ধকার করে দিয়েছে। যেখানে সমস্যা সেখানে সাময়িক বন্ধ রেখে দ্রুত লাইন নিরাপদ না করে বন্যা আক্রান্ত মানুষকে অন্ধকারের আরেক ভোগান্তিতে ফেলে তারা (পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি) দায় সারছে। এটা স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যায়, অমানবিক।
বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের এজিএম (কম) শহীদুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানি হতে লাইনের ক্লিয়ারেন্স কমে যাওয়ায় জন নিরাপত্তার স্বার্থে বন্যা কবলিত এলাকার ৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply