বড়লেখা প্রতিনিধি :: বড়লেখায় চলমান বন্যায় ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় নেওয়া বন্যাদুর্গত গর্ভবতী নারী ও সদ্য প্রসূতি মা এবং তাদের নবজাতক সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইউনিসেফের সহযোগিতায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। আশ্রয়কেন্দ্রের ২০ জন গর্ভবতী নারী ও প্রসূতি মায়েদের মাঝে ১৫ আইটেমের কীটবক্স বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার প্রধান অতিথি হিসেবে দাসেরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের মাঝে কীটবক্স বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম। এসময় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মঈন উদ্দিন, দাসেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন চক্রবর্তী, প্রধান শিক্ষক পটল চন্দ্র দাস, উপজেলা যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, প্রসূতি মা ও গর্ভবর্তীরা চলিত বন্যায় নানা অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশংকার কথা চিন্তা করে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইউনিসেফের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ১৫ পদের গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছে। বড়লেখা উপজেলার ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের কয়েকটিতে ২০ জন গর্ভবতী নারী ও সদ্য প্রসূতি মা আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ লিটার পানি রাখার ২ পিস জারিকেন, ৩ লিটারের ১ পিস জগ, ৫ পিস মগ, মা ও বাচ্চাদের স্যান্ডেল, টাওয়েল, সাবান, গামছাসহ ১৫ পদে মোট ৪০ পিসের এই কীটবক্স বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মঈন উদ্দিন জানান, বন্যার সময় গর্ভবতী নারী, প্রসূতি মা ও বাচ্চারা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন। অত্যাবশ্যক কিছু জিনিসের অভাবে মা ও শিশুরা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। তাদের সুরক্ষার বিষয়টি চিন্তা করে ইউনিসেফের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রের ২০ জন গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীকে মঙ্গলবার ও বুধবার হাইজিন কীটবক্স বিতরণ করা হয়েছে। যা নবজাতক শিশু ও মায়েরা ১ বছর ব্যবহার করতে পারবেন।
Leave a Reply