কাঠালতলী-তেরাকুড়ি-শিমুলিয়া সড়ক- বড়লেখায় স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ভরাট করল সড়কের গর্ত কাঠালতলী-তেরাকুড়ি-শিমুলিয়া সড়ক- বড়লেখায় স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ভরাট করল সড়কের গর্ত – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা বড়লেখায় পৌর যুবদল নেতার মামলায় ২ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বড়লেখায় শিক্ষক ও সাংবাদিক মইনুল ইসলামের ইন্তেকাল : শোক প্রকাশ নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা : ১৪ টি যানবাহন জব্দ কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম”

কাঠালতলী-তেরাকুড়ি-শিমুলিয়া সড়ক- বড়লেখায় স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ভরাট করল সড়কের গর্ত

  • সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪

এইবেলা, বড়লেখা:

বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলী-তেরাকুড়ি-শিমুলিয়া সড়কের সাইডিং বাজারের চলাচল অনুপযোগি খানাখন্দ আর গর্তে ভরা রাস্তার গর্ত স্থানীয় এলাকাবাসি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষ তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। এতে স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন।

কাজের উদ্যোক্তারা জানান, এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্যা গর্ত রয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তারা জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন। তাতে কারও সাড়া মেলেনি, কাজও হয়নি। এই অবস্থায় সরকারিভাবে সংস্কারের অপেক্ষা না করে স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে সড়কের গর্ত ভরাট শুরু করেছেন। দিনের বেলা যানবাহনসহ মানুষের চলাচল থাকায় রাতের বেলা তারা কাজ করছেন। শনিবার রাত দশটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কাঠালতলী বাজার থেকে ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক দুলালের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের কয়েকটি স্থানের গর্ত ভরাট করা হয়েছে। প্রায় ৩ কিলোটিমিটার এই সড়কটি গর্ত ভরাট করতে প্রায় এক লাখ টাকা প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি টাকা স্থানীয়দের কাছ সংগ্রহ করে তারা সড়কটির গর্ত ভরাট করবেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, কাঠালতলী-তেরাকুড়ি-শিমুলিয়া সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। সড়কটি উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঠালতলী বাজার (বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক) থেকে পশ্চিম দিকে গিয়ে সুজানগর ইউনিয়নের তেরাকুড়ির সঙ্গে মিশেছে। প্রায় তিন কিলোমিটার এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ আসা-যাওয়া করেন। ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনও চলাচল করে। সড়কের বিভিন্নস্থানে কয়েকদফা বন্যা পানি উঠে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডি সড়কটি মেরামতের উদ্যোগই নেয়নি। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এতে একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে থাকে। তখন মানুষজনের হেঁটে চলা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এছাড়া অটোরিকশা চালক সহ ছোট-বড় যানবাহন চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই অবস্থায় স¤প্রতি সড়কটির গর্তগুলো ভরাটের কথা চিন্তা করেন ব্যাংকার নাজমুল ইসলাম। তিনি বিষয়টি স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহিন আহমদকে জানান। শাহিন কয়েকজন অটোরিকশা চালককে বিষয়টি জানালে তারা এগিয়ে আসেন। এরপর সবাই মিলে এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এই টাকায় পাথর, বালু ও সিমেন্ট কেনা হয়েছে। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত দশটা থেকে ব্যবসায়ী শাহিন আহমদের নেতৃত্বে রাজমিস্ত্রী আব্দুল আহাদ, অটোরিকশা চালক আব্দুর রুপ, সুমন আহমদ, বারহাম উদ্দিন, ইলিয়াস আহমদ ও বাবুল আহমদসহ কয়েকজন মিলে সড়কটির গর্ত ভরাট কাজ শুরু করেছেন। ওইদিন রাত সাড়ে চারটা পর্যন্ত কাঠালতলী বাজার থেকে ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক দুলালের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের কয়েকটি স্থানের গর্ত ভরাট করা হয়েছে।

ব্যাংকার নাজমুল ইসলাম জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। এই অবস্থায় চলাচল করতে গিয়ে মানুষজন ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন। জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। স¤প্রতি সড়কটির গর্তগুলো ভরাট করা যায় কিনা তা নিয়ে ব্যবসায়ী শাহিন আহমদসহ আরও কয়েকজনের সাথে আলাপ করি। সবাই তাতে সাড়া দেন। এরপর সবাই মিলে টাকা সংগ্রহ করে সড়কটির কাজ শুরু করেছি।

ব্যবসায়ী শাহিন আহমদ বলেন, সড়কটি দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ কিলোটিমিটার। সড়কটির গর্ত ভরাট করতে প্রায় এক লাখ টাকা প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি টাকা স্থানীয়দের কাছ থেকে তুলে সড়কটি সংস্কার করা হবে। দিনের বেলা সড়কটি দিয়ে মানুষের চলাচল বেশি থাকে। তখন কাজ করতে সমস্যা হবে ভেবে রাতে কাজ করছি। কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেই আমরা গর্ত ভরাট করছি।

অটোরিকশা চালক আব্দুর রুপ, সুমন আহমদ, বারহাম উদ্দিন, ইলিয়াস আহমদ ও বাবুল আহমদ বলেন, আমরা নিজেরাই টাকা দিয়েছি। মানুষদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি। এখন শ্রম দিয়ে সড়কের গর্ত ভরাট করছি। সড়কটি সংস্কার হলে সবাই নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী কাওছার আহমদ বলেন, সড়কের কিছু দূর পর পর ছোটবড় অনেক গর্ত ছিল। এতে চলাচলে সমস্যা হত। এলাকার লোকজন টাকা তুলে নিজেরা শ্রম দিয়ে গর্ত ভরাট করেছেন। এতে মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় বলেন, বরাদ্দ না আসায় রাস্তাটির কাজ করা যায়নি। কয়েকদিন আগে একজন ফোন দিয়ে বললেন সড়কটির গর্তগুলো ভরাট করবেন। তাকে মৌখিকভাবে ভরাটের অনুমতি দিয়েছি। বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কার করে দেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews