ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
সুনা
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রঞ্জন কুমার ঘোষ ৪ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেন আলী হোসেনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।আসামী পক্ষ শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত ।
গত ২৩ জুলাই উত্তর খুরমা ইউনিয়নের বড় বিহাই গ্রামের মোঃ আলী হোসেনের বসতঘর থেকে নববধূ রুকসানা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে পরের দিন বাদ যোহর চরমহল্লা ইউনিয়নের নানকার গ্রামের তার বাপের বাড়িতে তাকে দাফন হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের নানকার গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের কন্যা রুকশানা বেগমের বিয়ে হয় একই উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের বড় বিহাই গ্রামের সফর আলীর ছেলে দুবাই ফেরত আলী হোসেনের সঙ্গে। আলী হোসেন পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিল। বিয়ের পর থেকে স্বামী তার স্ত্রীকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং মানসিক ভাবে কষ্ট দিয়ে আসছে।
বিয়েতে ফ্রিজ ও চুলা না দেওয়ায় স্ত্রীকে অপমান করতো তার স্বামী। এ বিষয়টি মাসহ স্বজনদেরও অবহিত করে আসছে রোকশানা। তার সংসার সুখের জন্য দরিদ্র পরিবারের মা ভাইয়ের কাছ থেকে স্বামীর জন্য দুইবার নগদ অর্থ এনে দেয় সে। তার পরও পরকীয়ায় আসক্ত যৌতুক লোভি স্বামীর মন রক্ষা করতে পারেনি স্ত্রী রুকসানা।
গত ২৩ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিল নববধূর লাশ। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন এই অবস্থায় দেখে তাকে নামানোর চেষ্টা করেনি। এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে এসে লাশ নামায় এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। হত্যা না আত্মহত্যা এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ স্বামী আলী হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে নিহতের বড় বোন নাজমা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ##
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply