পৌরসভা নির্বাচন- কুলাউড়ায় পরিবর্তণের হাওয়া – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় বিয়ে বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি : ঘটক গ্রেফতার জুড়ীতে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ জিরার চালান জব্দ, গ্রেফতার ১ জুড়ীতে ছাত্র শিবিরের ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত- কুলাউড়ার অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত কুলাউড়ায় নিঃস্ব সহায়ক সংস্থার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ কুড়িগ্রামে বিজয় দিবসে জামায়াতের বর্ণাঢ্য র‍্যালি মেডিকেলে সুযোগ না পেয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত যুক্তরাজ্য ওল্ডহাম স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ রায়হানের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার কুলাউড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

পৌরসভা নির্বাচন- কুলাউড়ায় পরিবর্তণের হাওয়া

  • শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১

Manual1 Ad Code

এইবেলা, কুলাউড়া ::

কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। ৬ষ্ঠ পৌরপিতা নির্বাচনে ভোটররাও অধির আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তবে পৌরসভার পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য সঠিক নেতৃত্বই বেছে নেবেন বলে ভোটাররা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ৪ মেয়র প্রার্থীর মরণপণ লড়াইয়ে নৌকার প্রার্থী রয়েছেন সুবিধাজনক অবস্থানে।

কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে শেষ মুহুর্তের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার ১৪ জানুয়ারি। ব্যস্ত সময় পার করছেন ৪ মেয়র প্রার্থী। এছাড়া ৯ ওয়ার্ডে ৩৩ কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী আসনের ১৬ নারী প্রার্থী। ভোট চাইতে বিরামহীনভাবে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এখন পৌরসভার ২০ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের চুড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায়।

ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ৪ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নৌকা মার্কায় সিপার উদ্দিন আহমদ বিজয়ী হওয়ার পথে একমাত্র কাটা নৌকা বিদ্রোহী বর্তমান মেয়র সফি আলম ইউনুছ। এবার কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। সবার একটাই লক্ষ্য নৌকাকে বিজয়ী করা। কেননা ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সকল নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি অব্যাহত আছে। এই ভরাডুবির পেছনে একমাত্র কারণ ছিলো দলীয় কোন্দল। ডুবতে ডুবতে ২০ বছর পার করে এবার নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতি নিয়ে সবাই মাঠে নেমেছেন।

Manual8 Ad Code

কেন্দ্রিয় ও জেলা নেতাদের সাথে উপজেলার নেতৃবৃন্দের জোর প্রচারণায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। কুলাউড়া পৌরসভা মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এবার পরিবর্তণের পক্ষে। সরকারের অনেক বিরোধীতা করেছেন, তাতে কেবলই উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এবার অন্ত:ত উন্নয়নের স্বার্থে নৌকাকে বিবেচনা করতে চান। ফলে নৌকার বিজয় অনেকটাই সুনিশ্চিত। নৌকা বিজয়ী না হলে সেটা হবে অঘটন।

Manual1 Ad Code

নৌকার প্রার্থী সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, কুলাউড়া পৌরসভা গঠনের পর থেকে এখানে কোন পরিকল্পিত উন্নয়ন হয়নি। একটা এ গ্রেডের পৌরসভা সমস্যায় জর্জরিত। তিনি নির্বাচিত হলে একটা উন্নয়ন পরিকল্পনা করে কুলাউড়াকে একটি মডেল পৌরসভায় পরিণত করবেন। প্রতিশ্রুতি নয় কর্মের মাধ্যমেই তিনি কুলাউড়াকে এগিয়ে নিতে চান।

Manual1 Ad Code

১৯৯৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কুলাউড়াকে পৌরসভা রূপান্তরিত করেন। প্রথম পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালিক। এরপর ২ বার নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ এবং বিগত ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী শফি আলম ইউনুছ মেয়র নির্বাচতি হন। ফলে কুলাউড়া পৌরসভায় এককভাবে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির প্রার্থী বা দল এখানে নির্বাচনে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেন না।

কুলাউড়া পৌরসভায় বিএনপির একটি বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ২ বারের সাবেক মেয়র বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ এবার তাঁর হারানো চেয়ার পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। ফলে ধানের শীষ ভোটারদের মন জয় করে চমক দেখালে অবাক হওযার কিছু থাকবে না। তবে দলীয় কোন্দলে তিনিও জর্জরিত। সাধারণ ভোটাররাই তাঁর একমাত্র ভরসা।

বিএনপি মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ বলেন, বিগত নির্বাচনে তিনি বিজয়ী ছিলেন। তাকে হারানো হয়েছে। এবার জনসমর্থণ আমার পক্ষে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হবেন।

Manual3 Ad Code

বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সফি আলম ইউনুছ ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিদ্রোহী ছিলেন এবারও তিনি বিদ্রোহী। বহিষ্কারও হয়েছে ২ বার দল থেকে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে দিয়েছিলেন ব্যাপক প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না করায় ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তায় ভাটা নেমেছে। পৌরসভার একফোটা পানি না খাওয়ার ঘোষণা দিলেও পৌরসভার উন্নয়ন কাজে ঠিকাদরদের কাছে থেকে ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন নিয়ে কাজ দিয়েছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডে গ্যাস সরবরাহ করতে পারেননি। পৌরসভার মেইন সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ, বিশুদ্ধ পানী সরবরাহ, পরিচ্ছন্ন নগরী গঠন এসব কোন কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায়ে ভোটারদের বিবেচনায় খুব একটা নেই। তবে মোটা অঙ্কের ভোট কেনার বাজেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন এবার। যদি অর্থের কাছে ভোট বিক্রি হয়ে যায়, তাহলে তিনি ২য় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হবেন।

আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সফি আলম ইউনুছ বলেন, নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন। তিনি পৌরসভায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। বিজয়ী হলে কিছু কাজ অসমাপ্ত আছে সেগুলো শেষ করবেন।

অপর প্রার্থী শাজান মিয়া নির্বাচনের একমাসে আগে মধ্যপ্রাচ্যের কাতার থেকে এসে প্রার্থী হয়েছেন। নতুন প্রার্থী হিসেবে প্রচুর অর্থ খরচ করে প্রার্থীদের বেশ চমকে দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজান মিয়া কুলাউড়া পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করতে চান। তিনি পৌরবাসীর ভোট ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য ২য় দফায় দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে কুলাউড়ায় ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় মোট ভোটার ২০ হাজার ৭৫৯।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!