এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখা পৌরসভার লংলী ছড়ার জবর দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে ছড়ার খনন কাজ শুরু করেছেন পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। বেশির ভাগ দখলকারীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করলেও কয়েকজন অপসারণ করেননি। বৃহস্পতিবার মেয়র দাঁড়িয়ে থেকে একসেভেটর দিয়ে এদের অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন। এসময় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, পৌরশহরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে বহমান লংলীছড়া নামক খালের অধিকাংশ জায়গা তীরবর্তী ভুমির মালিকগণ দখল ও ভরাট করায় বর্ষায় এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে পৌরমেয়র লংলীছড়াটি খননের উদ্যোগ নেন। গত কয়েক দিনে পৌর কর্তৃপক্ষ ছড়ার তীরবর্তী তেলিগুল ও বারইগ্রাম এলাকায় ছড়ায় ২০টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের এসব স্থপনা অপসারণের অনুরোধ জানান। অধিকাংশ ছড়া দখলকারী জনস্বার্থে স্বেচ্ছায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেন। কয়েকজন ছড়া দখল করে পাকা ও অর্ধপাকা ঘর নির্মাণকারী তাদের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ না করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী দাঁড়িয়ে থেকে একসেভেটর দিয়ে ছড়ার ওপরের অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন। এসময় পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর কবির আহমদ, মোহাম্মদ শাহজাহান ছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জানান, কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির একটি প্রকল্প থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে পৌর শহরের দক্ষিণবাজার সংলগ্ন মৌলভীবাজার-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ব্রিজের গোড়া থেকে লংলি ছড়ার ২ কিলোমিটার খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ খাল বেদখল ও ভরাট হওয়ায় বর্ষায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাষনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির কারণে ব্যবসায়ী ও বাসাবাড়ির লোকজনকে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খনন কাজের জন্য ২০টি জায়গায় দখল উচ্ছেদ করতে হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি জায়গায় স্বেচ্ছায় লোকজন জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। দুটি জায়গায় শুধু পৌরসভাকে উচ্ছেদ করতে হয়েছে। খনন কাজ শেষ হলে বর্ষায় পানি নিষ্কাষনের আর কোন সমস্যা থাকবে না।#
Leave a Reply