এইবেলা, জুড়ী ::
ভারত থেকে নেমে এসে হাকালুকি হাওরে পতিত হওয়া জুড়ী নদীর দু’পাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা। নদীর দু’পাশের জায়গা দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তৈরি করে বেদখল করে রেখেছিল দখলদাররা। এতে নদীর দু’পাশ ভরাট হয়ে নদীটি পরিণত হয়েছে খালে।
অবৈধস্থাপনা গুলো উচ্ছেদের জন্য অনেকবার দখলদারদেরকে নোটিশ দেয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি দখলদাররা।অবশেষে দুই দফা উচ্ছেদ অভিযানে ৯৮ টি স্থাপনা গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর আগে গত ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারী চলা দুই দিনের অভিযানে ছোট বড় ৮০টি বিল্ডিং গুড়িয়ে দেয়া হয়।
বুধবার ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দিনব্যাপী এ অভিযানে অংশ নেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-ইমরান রুহুল ইসলাম,
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার অর্ণব মালাকার, জুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), মৌলভীবাজারের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আল-আমিন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
দীর্ঘদিন পর এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার।এতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও জুড়ী উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্বক সহযোগিতা করে। তাদের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান সমাপ্ত হয়।
জুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছোট এই উপজেলাকে সুন্দর করে সাজিয়ে মডেল উপজেলায় রুপান্তরিত করা হবে।নদীর দুই পাশ দখলমুক্ত করে ফুটওভার বানানো হবে,পাশাপাশি পার্কের মত দৃষ্টিনন্দন স্থান হিসেবে এই জায়গাকে সাজানো হবে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, যারা জুড়ী নদীর দু’পার দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। নদীর পার দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা দখলদারদের কোনক্রমেই ছাড় দেওয়া হবে না। নদীর সরকারি জায়গা উদ্ধারের পাশাপাশি কেউ যাতে পুনঃদখল করতে না পারে আমরা সেদিকে কঠোর নজর রাখবো।#
Leave a Reply