নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি ::
নওগাঁর আত্রাইয়ে গত কয়েক দিনে করোনা সংক্রমণের হার বাড়লেও বাড়ছে না মাক্সের ব্যবহার। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অধিকাংশ মানুষ। যত অনীহা মাক্স ব্যবহারে।
এদিকে নিয়ম না মেনে জনসমাগম করায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছে চিকিৎসকরা।
‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি, নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার এ সিদ্ধান্ত জোরালোভাবে কার্যকর করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা রয়েছে। ব্যাংক, বীমা, সরকারি- বেসরকারি দফতরগুলোতে সেবা পেতে মাস্কের ব্যবহার সাময়িকভাবে দেখা গেলেও রাস্তাঘাট, গণপরিবহন, পর্যটন স্পটগুলোতে যেমন নেই মাস্কের ব্যবহার। তেমনি বালাই নেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার। এই পরিস্থিতিতে মাস্কের ব্যবহার বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও সচেতনতা বাড়ানো যাচ্ছে না। উপজেলাজুড়ে দিন দিন মাস্ক ব্যবহারে অনীহা বাড়েই চলেছে।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আত্রাইয়ের মানুষের মধ্যে অনীহা বাড়ছে। মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হলে জরিমানার বিধান করা হয়েছে। তবে উপজেলার হাট-বাজার, শপিংমল এমনকি পাড়া-মহল্লায় সীমিত সংখ্যক মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন।
উপজেলার ভবানীপুর বাজারে জননী বস্ত্র বিতান এন্ড ফ্যাশন হাউজে কথা হয় নাসির উদ্দিন চঞ্চলের সাথে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে রোধে প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। প্রথম দিকে সবাই মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহী ছিল। তবে দিন যত যাচ্ছে, মানুষের আগ্রহ কমে আসছে।
এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রোখছানা হ্যাপি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহার অবশ্যই জরুরি। কেননা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। মাস্ক ব্যবহার না করা হলে নব্বই শতাংশ আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে। একই মাস্ক দীর্ঘদিন ব্যবহার করা এবং সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তবে মাস্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষের সচেতনতাই পারে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ আরো ভয়াবহ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএও) ইকতেখারুল ইসলাম জানান, স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। জনবহুল স্থান, বিভিন্ন মোড়ে ও বিভিন্ন দোকানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা ও মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। #
Leave a Reply