তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’ তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভূরুঙ্গামারীর সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত রেখার মসজিদের সামনে বিএসএফ’র সিসি ক্যামেরা কুলাউড়া হাজীপুরে জামায়াতের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা বড়লেখায় দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত যুবদল নেতার বাড়িতে তারেক রহমানের উপহার পৌঁছালেন বিএনপি নেতা সাজু সিলেট বিভাগে জামায়াতে ইসলামীর ১৯ প্রার্থী ঘোষণা জুড়ীতে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সভা এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তরে পাঁয়তারা বড়লেখায় এমএ হোসেন মেধাবৃত্তির পুরস্কার ও সনদ বিতরণ সেচ সংকটে কৃষকরা : ভর মৌসুমেও কমলগঞ্জে বোরো আবাদ ৪০ শতাংশ জুড়ীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরষ্কার পেল শিশুরা কুলাউড়ায় হাকালুকি যুব সাহিত্য পরিষদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও মেধাবৃত্তি প্রদান কুলাউড়া জয়চন্ডীতে আাপন ভাতিজাদের মারধরে আহত চাচা

তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’

  • মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

ড্রাইভার
তৌহিদুর রহমান

ড্রাইভার নাকি ছোট জাত?
সর্ব লোকে কয়;
তাদের নাকি আচার আচরণ
মোটেই ভালো নয়।

কথায় তারা রুক্ষ অতি,
চোখ দুটো তার লাল;
সবাই বলে তারা নাকি
মদ খেয়ে হয় টাল।

অনেকেতো বলেই ফেলে
বজ্জাত সব তারা;
মেয়ে দেখলেই তারা নাকি
হয়ে যায় টেরা।

দুনিয়ার যত মন্দ কথা,
আসে তাদের মুখে;
টাকা পেলেই তাদের মুখে
হাসি নাকি ফুটে।

মানছি আমি সব কথাই,
তবুও কথা থাকে;
সবার মাঝেই ভালো মন্দ
মিলে মিশে থাকে।

তোমরা সবাই মন্দ টুকুই
দেখলে বড় করে;
বিবেকটাকে নেড়ে দেখ
তারা বাঁচে কেমন করে?

কত শত চাপে থাকে,
কষ্ট সীমাহীন;
এদিক সেদিক হলেই একটু
জীবন হয় বিলীন।

রাস্তায় যখন থাকে তারা
আমাদেরকে নিয়ে;
সবার চাপ একাই সে
বহন করে নিজে।

কেউ বলছে ড্রাইভার ভাই
চালাও আরো জোরে;
আমার আবার তাড়াতাড়ি
অফিস ধরতে হবে।

কেউ বলে ভয় লাগে ভাই,
গতি কমাও দ্রুত;
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি
এইটা আগে বুঝো।

রাস্তায় যখন যানজট হয়,
দাঁড়িয়ে থাকে ঠাঁয়;
একচুল‌ও নড়িবার তার
ক্ষমতা যে নাই।

তুমি আমি সাইকেল বা মোটরসাইকেলে
ফাঁকে ফাঁকে ঢুকি;
কখনো আবার ফুটপাতে
সোজা গিয়ে উঠি।

আর যদি পায়ে চলো
তাহলে তো রাজা;
সাপের মতো এঁকে বেঁকে
সামনে চলো সোজা।

ভেবেছ কি ড্রাইভার যে
বসে আছে ঠাঁয়;
মনের ভিতর তার কতো
ঝড় বয়ে যায়।

মালিককে দিবে জমা,
রাস্তায় আছে কতো চাঁদা;
সব মিটিয়ে তার আয়
হয়ে যায় আধা।

থাকতে হয় খুব সর্তক,
আশেপাশে যত গাড়ি;
একটু দাগ পরলেই
মালিক দিবে জারি।

কখনো কখনো এমনও হয়
দিতে হয় টাকা ;
তা নাহলে চাকুরী তার
যাবে যে কাটা।

ঘরে তার অনেক মুখ
বসে আছে আশায়;
বাজার সদাই হলে কিছু
রান্না যদি চড়ায়।

তার ব‌উটা মা হবে,
টাকা কিছু চাই;
বাচ্চা দুইটা প্রাইভেটে
সেখানেও তাই।

মা-বাবা তার সাথেই খায়,
বয়স হয়েছে;
তাদের‌ও যে মাঝে মধ্যে
চিকিৎসা লাগে।

কিন্তু এখন গাড়ির সংখ্যা
অনেক বেড়েছে;
আগের থেকে আয় অনেক
কমে এসেছে।

ভাবো একবার কতো চাপে
রাস্তায় থাকে সে;
তোমার আমার জীবন নিয়ে
থাকে টেনশনে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews