এইবেলা, বড়লেখা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নের দর্শনা খাল পুনঃখননে এলাকার ১০ গ্রামের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা ও অকাল বন্যায় বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসলহানী নিরসন হতে যাচ্ছে। দ্রæত পানি নিষ্কাশন, কৃষির উন্নয়ন ছাড়াও বৃদ্ধি পাবে মাছের উৎপাদন। খনন কাজ পরিদর্শণে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা এ প্রতিবেদককে এমনটাই বলেছেন।
জানা গেছে, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়) আওতায় দর্শনা খালের প্রায় ৮ কিলোমিটার পূনঃখনন কাজ ‘জাইকা’র অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। ৯টি এলসিএস গ্রুপ ও ৪টি এস্কেভেটরের মাধ্যমে প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, মুর্শিবাদকুরা গ্রামের শফিক উদ্দিন টুনু, পাটনা গ্রামের ফয়জু রহমান, বড়ময়দান গ্রামের আব্দুল খালিক বাদল প্রমুখ জানান, দর্শনা খালটি ভরাট হওয়ায় পানি সংকটে উভয় পাড়ের শত শত একর কৃষি জমি অনাবাদি থাকে। কিছু জমিতে চাষাবাদ করা হলেও দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় অকাল বন্যায় কৃষকের ফসল তলিয়ে যায়। বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে উজানের ১০/১২টি গ্রামে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হয়। এ খালটি পুনঃখননের কারণে এলাকার কৃষক ও উজানের হাজার হাজার বাসিন্দা ব্যাপক উপকৃত হবেন। তারা জানান, দর্শনা খালটি চান্দগ্রামের বোরোদল নদীর সাথে সংযুক্ত করা গেলে এলাকাবাসি আরো বেশি উপকৃত হতেন।
এলজিইডির সাইট ইঞ্জিনিয়ার জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ৮৪৩ হেক্টর আবাদি জমি ব্যাপক উপকৃত হবে। কৃত্রিম জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে এলাকার দারিদ্রতা কমে লোকজনের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশিত হওয়ায় অকাল বন্যার আশংকাও প্রায় থাকবে না। শুষ্ক মৌসুমে স্লুইচ গেইটের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার হাত থেকে উজানের ৮/১০ গ্রামের ফসল রক্ষা পাবে। সঠিকভাবে খনন কাজ হওয়ায় এলাকাবাসিও বেশ সন্তুষ্ট বলে মনে হয়েছে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply