এইবেলা, জুড়ী::
জুড়ীর লাঠিটিলা রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে পাচারকালে ১০-১২ দিন বয়সী তিনটি পাহাড়ি ময়না পাখির ছানা উদ্ধার করেছে স্থানীয় বন বিভাগ। গত ৩ দিন ধরে ছানাগুলোর খাবার-দাবার ও পরিচর্যা করছেন স্থানীয় পরিবেশকর্মী স্বেচ্ছাসেবক খোর্শেদ আলম। তার সেবা যত্নে ইতিমধ্যে চোখ ফোটেছে তিনটি ময়না শাবকের। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানিয়েছেন খাবার সংগ্রহ ও উড়ে যাওয়ার সক্ষমতা পেলেই ছানাগুলো লাঠিটিলা ফরেস্ট কিংবা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে।
জানা গেছে, লাঠিটিলা বন বিটে ১৯৯৬ সনে সৃজিত সেগুন বাগানের একটি গাছে বাসা বেধেছিল পাহাড়ী ময়না দম্পতি। ১০/১২ দিন আগে ডিম ফোটে তিনটি ছানা বের হয়। পাচারের উদ্দেশ্যে সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে সপ্তাহখানেক আগে ৪-৫ দিন বয়সী ময়না পাখির ছানাগুলো বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায় লাঠিটিলার ডোমবাড়ি এলাকার ইছরাক আলীর ছেলে। তখনও ছানাগুলোর চোখ ফোটেনি। বিষয়টি বন বিভাগের নজরে আসলে বিট কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ময়নার ছানাগুলো উদ্ধার করে বিট অফিসে নিয়ে যান। পরে অভিযুক্তদের মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, যে কোন বন্যপ্রাণী শিকার, বিক্রি ও পোষা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। অসাধু চক্র ময়না ছানাগুলো সৌখিন পাখি পালনকারীদের নিকট চড়া বিক্রির জন্য সংগ্রহ করেছিল। ভবিষ্যতে এরকম কোন কাজ করবে না মর্মে মূচলেকা দেয়ায় অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে দেখাশুনা ও পরিচর্যার জন্য উদ্ধার ছানাগুলো বন বিভাগের সমন্বয়ে স্থানীয় পরিবেশকর্মী স্বেচ্ছাসেবক খোর্শেদ আলমের কাছে রাখা হয়েছে। উড়তে সক্ষম হলেই এগুলোকে অবমুক্ত করা হবে।
Leave a Reply