নওগাঁর আত্রাইয়ে গান্ধি আশ্রম এখন কালের স্বাক্ষী নওগাঁর আত্রাইয়ে গান্ধি আশ্রম এখন কালের স্বাক্ষী – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আমার বিদ্যালয়, আমার স্বপ্ন আমার অহংকার কুলাউড়ায় সরকারি জলমহাল জবরদখল করে মাছ লুটের অভিযোগ বড়লেখায় নিসচা’র উপদেষ্ঠা ও দায়িত্বশীলদের সংবর্ধনা ওসমানীনগরে ঈদে মীলাদুন্নবী (সা:)’র মোবারক র‍্যালী উৎসবমূখর পরিবেশে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে.. কমলগঞ্জে জেলা প্রশাসক কুলাউড়ায় শতবর্ষী মসজিদ সম্প্রসারণে বাঁধা জমি দখল ও টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে মানববন্ধন কুলাউড়ার ভাটেরা স্টেশন এলাকায় রেললাইন থেকে ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার কুলাউড়ার আমতৈলে প্রবাসীদের সংবর্ধনা আত্রাইয়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজে ধীরগতি : দুর্ভোগে এলাকাবাসী শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা

নওগাঁর আত্রাইয়ে গান্ধি আশ্রম এখন কালের স্বাক্ষী

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি ::  মহাত্মা গান্ধী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ১৯২৫ সালে নওগাঁর আত্রাইয়ে এসেছিলেন। বন্যা দূর্গত অসহায় গরীব মানুয়ের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত করা হয় ‘বঙ্গীয় রিলিফ কমিটি, বা (এখন গান্ধি আশ্রম)। উপজেলার তেতুঁলিয়া গ্রামে আশ্রম গড়ে ছিলেন, যা ‘গান্ধী আশ্রম’ নামে পরিচিত। জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে এটি অবস্থিত।

সময়ের বিবর্তনে কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। জনশ্রুতি আছে এই জনপদের বন্যা দূর্গত মানুদের সাহায্য সহযোগীতা করতে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পত্র নিয়ে রিলিফ দিতে এসেছিলেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধি নওগাঁর পুন্যভূমি আত্রাইয়ে

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, জানা যায়, ইংরেজ সামাজ্যবাদের নির্যাতনে বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মহাত্মা গান্ধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়ে জনমনে জায়গা করে নেন তিনি। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ১৯২৫ সালে নওগাঁর আত্রাইয়ে এসেছিলেন। সে সময় তিনি আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন তেতুঁলিয়া গ্রামে অবস্থান করে এলাকার অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করেছিলেন। একই সাথে এলাকাবাসীকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে এখানে খদ্দর কাপড় তৈরির তাঁতশিল্প স্থাপন ও খাঁটি সরিষার তেলের জন্য ঘানি স্থাপনসহ অনেক স্মৃতিচিহ্ন গড়ে তোলেন। তৎকালীন বানভাসি মানুষদের সহযোগিতা করতে তিনি স্থাপন করেন বঙ্গীয় রিলিফ কমিটি (বিআরসি)।

বর্তমান সরকার ও ভারতীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় আশ্রমটিতে মহাত্মা গান্ধী ও পিসি রায় মেমোরিয়াল হল গড়ে উঠেছে। একতলা ভবনটি দ্বিতলায় উন্নীত করা হচ্ছে। গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত গুদাম ঘরটিও সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়াও নওগাঁ জেলা পরিষদের অর্থায়নে সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল ও দৃষ্টিনন্দন গেট নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি গান্ধীজির ম্যুরাল অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আশ্রমের অনেকটা জায়গায় চাষ করা হচ্ছে তুঁত গাছ। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দেখতে আসেন। শুধু তাই নয়; প্রতি সপ্তাহে একজন ডাক্তার এসে রোগী দেখেন।

গান্ধী আশ্রম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. নিরঞ্জন কুমার দাস বলেন, ‘এখানে প্রতি বছর আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় গান্ধীর জন্মোৎসব। আশ্রমের আরও উন্নয়নের পাশাপাশি একটি হাসপাতাল গড়ে তোলা প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের স্থানীয় সাংসদ ও ভারতীয় অর্থায়নে এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে।’

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিধন্য গান্ধী আশ্রমটি এখন আর অবহেলিত নয়। উন্নয়নের ছোঁয়ায় এটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হতে চলেছে। এখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুললে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে গান্ধী আশ্রমের পাশে সুদৃশ্য বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে।’ ইতিমধ্যে সেখানে গান্ধি চত্বরসহ বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ সরকার ও আন্তরিক আছে। এখানে আরো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হাতে নেয়া হবে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews