বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখায় পূর্ব-শত্রুতার জেরে ইজারাকৃত একটি সরকারি জলমহালে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিষ প্রয়োগে অন্তত ৫ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী ইজারাদার সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম রোববার দুপুরে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার চরিয়া শ্রীধরপুর মৌজায় অবস্থিত ‘চারুয়া মেধা বিল’ ১৪৩১ বাংলা পর্যন্ত ৬ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে কান্দিগ্রাম মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। লীজ গ্রহণের পর ইজাদার সমিতি এ জলমহালে মাছের পোনা অবমুক্ত, সংরক্ষণ ও রক্ষনাবেক্ষণ করছে। জলমহালে তাদের ফেলা পোনা মাছ ইতিমধ্যে কয়েক লাখ টাকার হয়ে গেছে। তারা সুষ্ঠুভাবে মৎস্য আহরণ ও সংরক্ষণ করিলে বিলের পেছনের ‘কামারী খাল’ জলমহাল ইজারা নিতে ব্যর্থ প্রতিদ্ব›দ্বী তিনটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির লোকজন বিভিন্নভাবে বিলের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত থাকে। শুক্রবার বিকেল থেকে ‘চারুয়া মেধা বিলে’র ইজাদাররা পানির ওপর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন। গত দুই দিনে অন্তত ৫ লাখ টাকার মাছ মরে পানির ওপর ভেসে উঠেছে। পানি যাচাই বাছাই করে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করেন বিলের টেন্ডার নিয়ে মনোমালিন্য থাকায় প্রতিপক্ষ সমিতির লোকজন বিলে বিষপ্রয়োগ করেছে।
কান্দিগ্রাম মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম জানান, বিলটি তার সমিতি ৬ বছরের জন্য লীজ নিয়ে ধারদেনা করে ৮-১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে মাছ বেশ বড়ও হয়েছে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা বিষপ্রয়োগ করে অন্তত ৫ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে। এতে তাদের পথে বসার উপক্রম। তার দাবী ইজারা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিদ্ব›দ্বী তিনটি সমিতির লোকজন এ নির্মম কাজটি করেছে। এব্যাপারে তিনি ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী রোববার বিকেলে জানান, জরুরী ভিত্তিতে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply