রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা হাসপাতালের মূল ভবনে হঠাৎ করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে ডাক্তার, নার্স, অফিস স্টাফ এমনকি রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ইতোমধ্যে এ অফিসটি সরানোর কাজ চলছে।
জানা যায়, শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত থেকে এ ফাটল শুরু হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। রাত সোয়া ১টার দিকে হাসপাতালের মূল ভবনের ভেতওে বিভিন্ন দিকে বিকট শব্দ হলে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারীরা মূল ভবনের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখতে পান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আফজালুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালের মূল ভবনে বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল দেখতে পান এবং ওই দিনই মৌলভীবাজার স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন মহলে লিখিতভাবে জানান।
এদিকে বিষয়টি জেনে ওই দিনই স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ও সিলেট বিভাগীয় সুপারেনটেন্ডেন্ট প্রকৌশলী এ.কে.এম বদরুল ইসলাম ভবনটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান এবং এ ভবনের যাবতীয় কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলেন।
এছাড়া এমন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ফাটল দেখা দেওয়ার পরই আমি খবর পাই এবং পরদিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি। পরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ও সিলেট বিভাগীয় সুপারেনটেন্ডেন্ট প্রকৌশলী এ.কে.এম বদরুল ইসলাম ভবনটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান। বর্তমানে তাদের নির্দেশে অফিস স্থানান্তরের কাজ চলছে।
মৌলভীবাজারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ভবনটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা যাবে না এবং এখান থেকে যাবতীয় দাফতরিক কাজ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছি।#
Leave a Reply