এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলায় শিশু শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন অভিভাবকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সার্ভারের অযুহাত দিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চান। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা।
কুলাউড়া পৌরসভার রাবেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা জানান, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক শিশুদের করোনা টিকা দেয়ার জন্য আগেই নিবন্ধন করেন অভিভাবকরা। গত বৃহস্পতিবার অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ আসে, প্রথম ডোজ গ্রহণের তারিখ ০৫ নভেম্বর, কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কুলাউড়া। মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পেয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তান নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন টিকা দেয়া হবে স্বস্ব স্কুলে। হাসপাতাল থেকে আবার অটোরিক্সা ভাড়া করে ছুটে যান স্কুলে, সেখানে গিয়ে টিকা নেন।
শুধু রাবেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নয় অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একই হয়রানির শিকার হয়েছেন। পুরশাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ জানান, তিনিও ছেলের করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন করেন। একইভাবে ম্যাসেজ আসে প্রথম ডোজ গ্রহণের তারিখ ০৫ নভেম্বর, কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কুলাউড়া। পরে স্কুল থেকে জানানো হয়েছে ১৯ নভেম্বর স্কুলে টিকা দেয়া হবে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ম্যাসেজে কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কুলাউড়া লেখা সে কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদানে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিলো। এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে উদাসীনতা। কয়েকশ অভিভাবক সন্তানদের নিয়ে হাসপাতাল থেকে আবার স্কুলে এসেছেন। স্কুলের পাশাপাশি হাসপাতালেও শিশুদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানান অভিভাবকরা। তাছাড়া যদি স্বস্ব স্কুলে টিকা দেয়া হয়, তাহলে আগে শিক্ষার্থীদের এবং স্কুল এলাকায় মাইকিং জানানো উচিত। তাহলে অভিভাবকরা শিশুকে নিয়ে হাসপাতাল ও স্কুল দু’জায়গা যেতে হতো না।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার জানান, এটা সার্ভারের সমস্যা। সারাদেশেই এই সমস্যা। আমাদের কিছু করার নাই। কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কুলাউড়া লেখা থাকবে কিন্তু প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে। উপজেলা হাসপাতালে শিশু শিক্ষার্থীদের টিকা দানের ব্যবস্থা নেই।#
Leave a Reply