কুড়িগ্রামে বাড়ির উঠানে মাছচাষ করে সাড়া ফেলেছেন আব্দুল মোমিন কুড়িগ্রামে বাড়ির উঠানে মাছচাষ করে সাড়া ফেলেছেন আব্দুল মোমিন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় যানজট নিরসনে অভিযানে অর্ধশত গাড়ির চাবি জব্দ কমলগঞ্জে মন্দির সংস্কার ও অস্বচ্ছল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ কুলাউড়ায় আ’লীগের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে বাদী : নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি মণ্ডপের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি-সেক্টর কমান্ডার শ্রীমঙ্গল জুড়ীতে পূজামণ্ডপ কমিটির সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় কুলাউড়ায় নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের আহবান সেনাবাহিনীর মৌলভীবাজারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে সেনাবাহিনীর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বড়লেখা শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি নিটারের নতুন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম

কুড়িগ্রামে বাড়ির উঠানে মাছচাষ করে সাড়া ফেলেছেন আব্দুল মোমিন

  • শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২
রতি কান্ত রায়, কুড়িগ্রাম ::: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বাড়ির উঠানে ও আঙিনায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছচাষ করে সাড়া ফেলেছেন আব্দুল মোমিন নামের এক মাদরাসা শিক্ষক। নিজের পর্যাপ্ত জমিজমা না থাকায় এ পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন তিনি। সেখানে দেশি প্রজাতির কই ও ট্যাংরা মাছচাষ করছেন আব্দুল মোমিন।
আব্দুল মোমিন রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের খালিসা কৈলাশকাটি গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে।
আব্দুল মোমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিজের জমিজমা না থাকায় শিক্ষকতার পাশাপাশি অন্যের পুকুর লিজ নিয়ে মাছচাষ করতেন। গতবছর মাছচাষ করে লোকসানে পড়েন। ওই লোকসান কাটিয়ে উঠতে কম খরচে কীভাবে মাছচাষ করা যায় সে পদ্ধতি খুঁজতে থাকেন। পরে ইউটিউবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছচাষ করা দেখে উদ্বুদ্ধ হন আব্দুল মোমিন।
চলতি বছরের ১৯ আগস্ট দুটি জলাধারে ৫৭ হাজার কই মাছ ও তিন হাজার দেশি ট্যাংরা মাছের পোনা ছাড়েন। জলাধার তৈরি, অক্সিজেন মেশিনসহ উপকরণ ক্রয়, খাবার, ওষুধ ও বিদ্যুৎ খরচসহ তার মোট ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা। এই মাছ বর্তমান বাজারে ৫-৬ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন এই মাদরাসা শিক্ষক। মোমিনের আশা, এই সাড়ে চার মাসে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছচাষ করে তার আয় হবে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা।
উদ্যোক্তা আব্দুল মোমিন বলেন, শখের বসে ইউটিউবে দেখে ঢাকা থেকে সবধরনের উপকরণ ডেলিভারি নিয়েছি। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে অক্সিজেন মেশিন কিনেছি। প্রায় ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মাছের পোনা সংগ্রহ করি। দুটি জলাধার নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় তিন লাখ টাকা। প্রথম দিকে খরচ বেশি হলেও পরবর্তি সময়ে দ্বিগুণেরও বেশি লাভের আশা করছেন আব্দুল মোমিন।
আব্দুল মোমিনের স্ত্রী শাহজাদী বেগম বলেন, ‘গ্রামবাসী ও তার ভাইয়েরা এ কাজে নিরুৎসাহিত করলেও আমি স্বামীর কাজে খুশি ছিলাম। আমার ছেলেসহ আমরা তিনজন মানুষ। আমাদের যা আছে তা দিয়েই সংসার চলে। স্বামী ব্যতিক্রম কিছু করলে ভালোই লাগে। স্বামী মাদরাসায় গেলে আমি বাকি সময়টাতে মাছের খাবার দেওয়া, অক্সিজেন লাইন ঠিক আছে কি না তা দেখভাল করি।
বাড়ির উঠানে আব্দুল মোমিনের মাছচাষ দেখতে আসা মোখলেছুর রহমান বলেন  মানুষ পুকুরে, বিলে মাছচাষ করে। কিন্তু বাড়ির আঙিনায় মাছচাষ এই প্রথম দেখলাম। আমি এটি দেখে খুবই আনন্দ পেয়েছি। এভাবে অল্প জায়গায় বেকার যুবকরা মাছচাষে এগিয়ে এলে তারা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় বলেন, বায়োফ্লক পদ্ধতি একটি নতুন প্রযুক্তি। এতে ছোট্ট পরিসরে ৩০ ভাগ কম খরচে মাছচাষ করে লাভবান হওয়া যায়। কেউ আগ্রহী হলে জেলা মৎস্য বিভাগ তাদের সবধরনের কারিগরি সহযোগিতা দেবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews