রাজনগরে আটকে আছে এডিবি ও রাজস্বখাতের উন্নয়ন :বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ রাজনগরে আটকে আছে এডিবি ও রাজস্বখাতের উন্নয়ন :বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় ২ লক্ষাধিক টাকার আগর কাঠ আটক বিএসএফের বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে বড়লেখায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বড়লেখা সীমান্তে চা শ্রমিকের লাশ : বিএসএফের বিরুদ্ধে গুলি করে হত্যার অভিযোগ মৌলভীবাজারে মুনসুন ফ্লাস ফ্লাড রেসপন্স লেসন লার্নড ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত নবীগঞ্জে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগীতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বড়লেখায় আখেরী মুনাজাতের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত ৩ দিনব্যাপী দস্তারবন্দী মহাসম্মেলন তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে বাঁচাতে খেলাধূলার বিকল্প নেই- ময়ূন বড়লেখায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক-বড়দিন উদযাপন, শিক্ষার্থীদের উপহার বিতরণ কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বন থেকে সেগুন গাছ চুরি কমলগঞ্জ মণিপুরি ললিতকলা একাডেমিতে ৭ দিন ব্যাপী নৃত্য প্রশিক্ষণ শুরু

রাজনগরে আটকে আছে এডিবি ও রাজস্বখাতের উন্নয়ন :বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ

  • বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

 
রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::  মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আট ইউনিয়নের মধ্যে রাজস্ব খাতের টাকার বন্ঠনে অনিয়মের কারণে ইউপি চেয়ারম্যানদের আপত্তির মুখে আটকে আছে উন্নয়ন কাজ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টেন্ডার ও কাজ না হলে টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে যেমন জমা হয়ে যাবে তেমনি উন্নয়ন বঞ্চিত হবে রাজনগরের সাধারণ মানুষ। এনিয়ে বিগত উপজেলা সমন্বয় সভায় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার আট ইউনিয়নে উন্নয়নের জন্য চলতি অর্থবছরে এডিবির ৫৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ও রাজস্ব খাতের ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মজুত রয়েছে। বিগত অর্থ বছরগুলোতে জানুয়ারি মাসে টেন্ডার করেই কাজগুলো আদায় করা হতো। কিন্তু চলতি অর্থবছরে মার্চ মাসের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজস্ব খাতের উন্নয়নের জন্য অর্থ বছরের মাঝামাঝিতে উপজেলার আট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ১০ লক্ষ টাকা করে প্রকল্প দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠিতে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার উল্লেখ ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যানরা প্রকল্প দেয়ার পর পরবর্তী সমন্বয় সভায় এসে দেখেন টাকার অংক হয়ে গেছে ৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা।

এসময় মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত আপত্তি জানান এবং রেজুলেশনে উল্লেখ রাখার জন্যও বলেন। এ সভায় আর তেমন কিছু না হলেও পরবর্তী সভায় আবারো দেখা যায় বরাদ্দ বেড়ে হয়ে গেছে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। সমন্বয় সভায় বিষয়গুলো উত্তাপন না করে প্রকল্পগুলো পাস কারায় চেয়ারম্যানরা আপত্তি জানান।

এছাড়াও কোন ইউনিয়নে ২১ লাখ আবারো কোন ইউনিয়নে ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় নেছার আহমদ এমপির উপস্থিতে চেয়ারম্যানরা তাদের আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরেন।

এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত তার আপত্তির বিষয়টি রেজুলেশনে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমন্বয় সভার উপদেষ্ঠা নেছার আহমদ এমপি সমহারে বন্ঠনের নির্দেশ দিয়ে প্রকল্পগুলো স্থগিত রাখার জন্য পরামর্শ দেন।

পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা বলেন, আমাদের ১০ লক্ষ টাকার প্রকল্প দেয়ার জন্য বলা হয়। এসময় বরাদ্দ দেখানো হয় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। কিন্তু এটাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ। আমরা জানিই না। বন্ঠন অনিয়ম ও আমাদের অজ্ঞাতে প্রকল্প পাস করায় আমরা সকল চেয়ারম্যান আপত্তি জানিয়েছি এবং সমহারে বন্ঠন করার দাবি জানিয়েছি।

ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত বলেন, গত সভায় এ বিষয়ে আমরা সকল চেয়ারম্যান আপত্তি জানিয়েছি। সভায় উপস্থিত এমপি মহোদয়ও এবিষয়ে সমহারে বন্ঠনের নির্দেশ দিয়ে প্রকল্পগুলো স্থগিত রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, আমি রাজনগর আসার আগে অক্টোবর মাসে প্রকল্পগুলো পাস করা হয়েছে। চেয়ারম্যানরা আপত্তি জানিয়েছেন। উন্নয়ন কাজের সদস্য সচিব উপজেলা প্রকৌশলী বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews