পরিবারে থেকে সাজা ভোগ : পরিশুদ্ধ হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপহার পেলেন সাজাভোগী পরিবারে থেকে সাজা ভোগ : পরিশুদ্ধ হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপহার পেলেন সাজাভোগী – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজে ধীরগতি : দুর্ভোগে এলাকাবাসী শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা

পরিবারে থেকে সাজা ভোগ : পরিশুদ্ধ হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপহার পেলেন সাজাভোগী

  • সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বড়লেখা প্রতিনিধি:

বড়লেখায় একটি মাদক মামলার রায়ে এক বছরের সাজা হয় কমল খংলার (৩৫)। তবে আদালত তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে পারিবারিক পরিবেশে একজন প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে পরিশুদ্ধ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতের আদেশে তিনি মুক্ত হন। আদালতের শর্ত মেনে পরিশুদ্ধ হওয়ায় ওই দিন বিকেলে সাজাভোগী কমল খংলাকে তিনটি উন্নত জাতে আম, পেয়ারা ও কলা গাছের চারা উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

কমল খংলা বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা বাগানের ধনু খংলার ছেলে।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাজাভোগী যুবককে আদালত প্রাঙ্গণে ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যতিক্রমী উপহার প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন আদালতের সহকারী আইন কর্মকর্তা (এপিপি) গোপাল দত্ত, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আদালত পুলিশের সিএসআই ফখরুজ্জামান, জিআরও পিযুষ কান্তি দাস, ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী মো. রিপন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, কমল খংলার (৩৫) বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা (জিআর ৪০/২২) ছিল। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালতের বিচারকের রায়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার তত্ত্ববধানে পরিবারের সদস্যদের সাথে থেকে কমলের এক বছরের সাজাভোগ শুরু হয়। এই সময় বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তার তত্ত্ববধানে বন বিভাগের স্থানীয় নার্সারিতে কাজ করতেন কমল খংলা। গত ৩১ আগস্ট তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। প্রবেশন চলাকালে কমল সব শর্ত পূরণ করেছেন।

চূড়ান্তভাবে মুক্ত হয়ে খুশি কমল খংলা জানান, ‘আমি দরিদ্র মানুষ। আর মাদকের সাথে জড়িত হব না। স্যার (ম্যাজিস্ট্রেট) আমাকে কারাগারে না পাঠিয়ে ভাল হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।’

প্রবেশনের দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, ‘প্রবেশনের সব শর্ত মেনে খুব ভালভাবে কমল খংলা বনবিভাগের নার্সারিতে কাজ করেছেন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews