বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখায় রাজমিস্ত্রী রিয়াজ উদ্দিন হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশ আরও চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ পারভেজ জমাদার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন। হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছে আদালতে।
বৃহস্পতিবার র্যাব-১ এর সহযোগিতায় ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার প্রধান আসামি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সিরাজুল ইসলাম ইমনের দেওয়া তথ্যে পুলিশ শুক্রবার রাতে অপর চার আসামিকে গ্রেফতার করে। এরা হচ্ছে ব্রাম্মনবাড়ীয়ার নাসিরনগর উপজেলার মো. হুমায়ুন, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মো. আলমগীর মিয়া, মো. শাহ আলী ও মো. আসাবুল। এরা সবাই বড়লেখায় বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে ভাঙ্গারি ব্যবসা করছিল।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ দোহালিয়া গ্রামের মৃত ফরিদ আলীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৩০) রাজমিস্ত্রীর কাজসহ দিনমজুরীর কাজ করে স্ত্রী ও মা-সহ জীবিকা নির্বাহ করত। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গারীর দোকানে বস্তা উঠানোর কাজ আছে বলে রতুলী বাজারের উদ্দেশ্যে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কৃষকরা মাধবছড়ার পশ্চিমে ধানক্ষেতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে রিয়াজ উদ্দিনের মা কনাবি বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা কনাবি বিবি। এরপরই থানা পুলিশ ক্লুলেস হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে র্যাবের সহায়তায় ঢাকা থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান শনিবার রাতে জানান, র্যাব-১ এর সহযোগিতায় হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে শুক্রবার রাতে আরও চার আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মুল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আদালতে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
Leave a Reply