বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে চেক ডিজঅনার মামলায় জামিন নিয়েই প্রবাসির স্ত্রী বাদির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী, হত্যার হুমকি ও চুরির মামলা দায়েরে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত ঘটনার বর্ণনা শুনে গৃহবধুর দেবর, ভাসুর, শ্বাশুড়িসহ প্রতিবেশিরা হতবাক। বিস্ময় প্রকাশ করে তারা বলেন, মামলার ঘটনাস্থলে (শ্বশুড় বাড়ি) অন্তত ৩ মাসের মধ্যে গৃহবধু আসেননি, শ্লীলতাহানীর চেষ্টা, হত্যার হুমকি ও চুরির মামলাটি রহস্যজনক।
জানা গেছে, উপজেলার দাসেরবাজারে ইউনিয়নের টুকা গ্রামের নুরুল ইসলামের নিকট থেকে পারিবারিক বিশেষ প্রয়োজনে একই গ্রামের প্রবাসি রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী আবিদা সুলতানা শারমিন চলিত বছরের ৫ মার্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ডকুমেন্ট স্বরূপ তিনি একটি চুক্তিপত্র ও সোনালী ব্যাংক চান্দগ্রাম শাখার আড়াই লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। নির্ধারিত তারিখ অতিক্রমের পর বারবার তাগিদ দিয়েও তিনি পাওনা টাকা আদায় করতে পারেননি। অবশেষে ভোক্তভোগি নুরুল ইসলাম ১৬ আগস্ট প্রবাসির স্ত্রী আবিদা সুলতানা শারমিনের বিরুদ্ধে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করেন। ওই মামলায় ২৩ আগস্ট আদালত থেকে আবিদা জামিন নেন। এরপরই বাদী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫ সেপ্টেম্বরের একটি ঘটনা উল্লেখ করে ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি (আবিদা সুলতানা) শ্বশুড় বাড়িতে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা, হত্যার হুমকি ও চুরির অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত পুলিশের সি.এস.আইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে কথিত মামলার বাদি আবিদা সুলতানা শারমিনের দেবর সোহেল আহমদ, শ্বাশুড়ি রেনু বেগম, ভাসুর (চাচাতো) হেলাল আহমদ, চাচা শ্বশুড় ফজলুর রহমান ও আছাদ উদ্দিন, দাদা শ্বশুড় জমির উদ্দিন, গ্রামের মুরব্বি ছামিক উদ্দিন, আব্দুল জব্বার সহ প্রতিবেশিরা জানান, কয়েক মাস ধরে প্রবাসি রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী আবিদা সুলতানা শারমিন বিয়ানীবাজারে একটি ভাড়া বাসায় সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। অন্তত তিন মাসের মধ্যে তিনি শ্বশুড় বাড়িতে আসেননি। নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখিত ঘটনা ঘটে থাকলে সবার আগে অবশ্যই তারা জানতেন, মামলার স্বাক্ষী হতেন। এধরণের কোন ঘটনা তাদের জানা নেই।
তবে আবিদা সুলতানা শারমিনের নিকট নুরুল ইসলামের আড়াই লাখ টাকা পাওনা ও চেক ডিজঅনার মামলার বিষয়টি তারা জানেন। এই মামলাটি আপোস করার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য মেম্বার রুহুল আমিন বাহার ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকসহ গ্রামের মুরব্বিরা চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নুরুল ইসলাম পাওনা টাকা পরিশোধ ব্যতিত সমঝোতায় রাজি হননি। মুলত চেক ডিজঅনার মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই বিবাদি আবিদা সুলতানা শারমিন নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়েছেন। যা তদন্তে প্রমাণ হবে বলে তারা আশা করছেন।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে প্রবাসীর স্ত্রী আবিদা সুলতানা শারমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এব্যাপারে সাংবাদিকের সাথে কোন কথা বলবেন না। আদালতে মামলা দিয়েছেন, যা করার আদালতই করবে।
প্রবাসির স্ত্রী আবিদা সুলতানা শারমিনের মামলার বিবাদি ও তার (আবিদা সুলতানা শারমিন) বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলার বাদি নুরুল ইসলাম জানান, পাওনা টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলার পর তিনি কেন তার (বিবাদির) বাড়িতে যাবেন। এটি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply