বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) নামক এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে মেয়াদী আমানতের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে গ্রাহকের জমানো টাকার লভ্যাংশসহ মুলধন পরিশোধে শুভংকরের ফাঁকির অভিযোগ ওঠেছে।
রুমিয়া আক্তার জনি নামক একজন গ্রাহকের ১০ বছর মেয়াদী আমানত জমার মেয়াদ শেষে নানা অজুহাত দেখিয়ে সম্প্রতি তাকে প্রায় ৬৮ হাজার টাকা কম দিয়ে বিদায় করেছে সিএনআরএস কর্মকর্তা। এমন অভিযোগ শুধু জনির নয়, আরো অনেক গ্রাহকের।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গ্রামতলার ফারুক আহমদের স্ত্রী রুমিয়া আক্তার জনী সিনএনআরএস কর্মকর্তাদের লোভনীয় অপারে প্রলুব্দ হয়ে ২০১৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে মাসিক ১ হাজার টাকার ১০ বছর মেয়াদী একটি আমানত হিসাব খুলেন। পাশবইয়ের শর্তানুযায়ি মেয়াদ শেষে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিপরীতে তাকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধের কথা। এরমধ্যে বোনাস হিসেবে থাকছে ৯ হাজার ১৪৫ টাকা। পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের মাসিক সকল কিস্তি নির্দিষ্ট সময়ে জমা প্রদান সাপেক্ষে ঘোষিত হারে বোনাস প্রদানযোগ্য বলে পাশবইয়ে উল্লেখ করা হয়। গ্রাহক রুমিয়া আক্তার জনীর বেশ কয়েকটি কিস্তি অনিয়মিত হওয়ায় তিনি বোনাস পাওয়ার অধিকারি নন। গত ৫ অক্টোবর তার আমানতের মেয়াদ সম্পন্ন হয়। বোনাস ছাড়া মেয়াদান্তে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৫ টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও গত ৫ নভেম্বর তাকে মাত্র ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকার চেক ধরিয়ে দেন সিএনআরএসের বড়লেখা ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ। প্রায় ৬৮ হাজার টাকা কম দেওয়ার ব্যাপারে কর্মকর্তা জানান, তার অনেক কিস্তি তিনি নির্ধারিত তারিখের পরে পরিশোধ করেছেন। এইজন্য পুরো টাকা দেওয়া যায়নি।
গ্রাহক রুমিয়া আক্তার জনীর স্বামী ফারুক আহমদ জানান, কয়েকটি কিস্তি নির্ধারিত তারিখের পর পরিশোধ করায় তার স্ত্রী বোনাস দাবি করেননি। আমানতটি চালুর সময় সম্পাদিত চুক্তি ও পাশ বইয়ে এত বড় অঙ্কের মুনাফা কর্তনের উল্লেখ ছিল না। এমনকি সিএনআরএসের কোন কর্মকর্তাও বলেননি মাসিক কিস্তি ১৫ তারিখের স্থলে ৫/১০ দিন পরে পরিশোধ করলে বিরাট অঙ্কের টাকা মার যাবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমানত উত্তোলন করতে গেলে তারা টাল বাহানা শুরু করে। তারা আমার স্ত্রীর আমানতের বিপরীতে সাড়ে ৮ পার্সেন্ট মুনাফা দিয়েছে বললেও প্রকৃতপক্ষে সাড়ে ৫ পার্সেন্ট মুনাফা দিয়েছে। শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে সিএনআরএস তার স্ত্রীর প্রায় ৬৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মেয়াদান্তে লভ্যাংশসহ মুলধন প্রদানে সিএনআরএস এমন জালিয়াতি বুঝতে পারলেও ওখানে আমানত জমা রাখতেন না। এব্যাপারে তিনি আদালতের শরনাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এব্যাপারে সিএনআরএস বড়লেখা শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ জানান, সংস্থার সার্কুলার অনুযায়ি তিনি গ্রাহক রুমিয়া আক্তার জনীকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আমানতের বিপরীতে লভ্যাংশসহ মুলধন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। তার দাবী সংস্থা তাকে সাড়ে ৮ পার্সেন্ট মুনাফা দিয়েছে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply