বড়লেখায় মেয়াদান্তে আমানত পরিশোধে সিএনআরএসের শুভংকরের ফাঁকি বড়লেখায় মেয়াদান্তে আমানত পরিশোধে সিএনআরএসের শুভংকরের ফাঁকি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এর জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে ইউপি সদস্যের বন সংলগ্ন সরকরি জমি দখল করে ঘর নির্মাণ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কমলগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা রাজনগরে ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু নবীগঞ্জে ‘সনাতন-দীননাথ কল্যাণ ট্রাস্ট’-এর উদ্যোগে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত  কুলাউড়া রাস্তা জবর দখলের চেষ্টা শীর্ষক সংবাদের সংশোধন কুলাউড়ার লক্ষ্ণীপুর চা বাগান ভূমিখেকোদের কবল থেকে উদ্ধার ও চা শ্রমিকদের পূর্নবাসনের দাবী সিলেটে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় চান্সপ্রাপ্তদের নিয়ে প্রি-ডিপার্চার সেশন অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মতবিনিময়- কোনভাবেই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করা যাবে না

বড়লেখায় মেয়াদান্তে আমানত পরিশোধে সিএনআরএসের শুভংকরের ফাঁকি

  • শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

বড়লেখা প্রতিনিধি ::

বড়লেখায় সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) নামক এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে মেয়াদী আমানতের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে গ্রাহকের জমানো টাকার লভ্যাংশসহ মুলধন পরিশোধে শুভংকরের ফাঁকির অভিযোগ ওঠেছে।

রুমিয়া আক্তার জনি নামক একজন গ্রাহকের ১০ বছর মেয়াদী আমানত জমার মেয়াদ শেষে নানা অজুহাত দেখিয়ে সম্প্রতি তাকে প্রায় ৬৮ হাজার টাকা কম দিয়ে বিদায় করেছে সিএনআরএস কর্মকর্তা। এমন অভিযোগ শুধু জনির নয়, আরো অনেক গ্রাহকের।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গ্রামতলার ফারুক আহমদের স্ত্রী রুমিয়া আক্তার জনী সিনএনআরএস কর্মকর্তাদের লোভনীয় অপারে প্রলুব্দ হয়ে ২০১৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে মাসিক ১ হাজার টাকার ১০ বছর মেয়াদী একটি আমানত হিসাব খুলেন। পাশবইয়ের শর্তানুযায়ি মেয়াদ শেষে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিপরীতে তাকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধের কথা। এরমধ্যে বোনাস হিসেবে থাকছে ৯ হাজার ১৪৫ টাকা। পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের মাসিক সকল কিস্তি নির্দিষ্ট সময়ে জমা প্রদান সাপেক্ষে ঘোষিত হারে বোনাস প্রদানযোগ্য বলে পাশবইয়ে উল্লেখ করা হয়। গ্রাহক রুমিয়া আক্তার জনীর বেশ কয়েকটি কিস্তি অনিয়মিত হওয়ায় তিনি বোনাস পাওয়ার অধিকারি নন। গত ৫ অক্টোবর তার আমানতের মেয়াদ সম্পন্ন হয়। বোনাস ছাড়া মেয়াদান্তে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৫ টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও গত ৫ নভেম্বর তাকে মাত্র ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকার চেক ধরিয়ে দেন সিএনআরএসের বড়লেখা ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ। প্রায় ৬৮ হাজার টাকা কম দেওয়ার ব্যাপারে কর্মকর্তা জানান, তার অনেক কিস্তি তিনি নির্ধারিত তারিখের পরে পরিশোধ করেছেন। এইজন্য পুরো টাকা দেওয়া যায়নি।

গ্রাহক রুমিয়া আক্তার জনীর স্বামী ফারুক আহমদ জানান, কয়েকটি কিস্তি নির্ধারিত তারিখের পর পরিশোধ করায় তার স্ত্রী বোনাস দাবি করেননি। আমানতটি চালুর সময় সম্পাদিত চুক্তি ও পাশ বইয়ে এত বড় অঙ্কের মুনাফা কর্তনের উল্লেখ ছিল না। এমনকি সিএনআরএসের কোন কর্মকর্তাও বলেননি মাসিক কিস্তি ১৫ তারিখের স্থলে ৫/১০ দিন পরে পরিশোধ করলে বিরাট অঙ্কের টাকা মার যাবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমানত উত্তোলন করতে গেলে তারা টাল বাহানা শুরু করে। তারা আমার স্ত্রীর আমানতের বিপরীতে সাড়ে ৮ পার্সেন্ট মুনাফা দিয়েছে বললেও প্রকৃতপক্ষে সাড়ে ৫ পার্সেন্ট মুনাফা দিয়েছে। শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে সিএনআরএস তার স্ত্রীর প্রায় ৬৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মেয়াদান্তে লভ্যাংশসহ মুলধন প্রদানে সিএনআরএস এমন জালিয়াতি বুঝতে পারলেও ওখানে আমানত জমা রাখতেন না। এব্যাপারে তিনি আদালতের শরনাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এব্যাপারে সিএনআরএস বড়লেখা শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ জানান, সংস্থার সার্কুলার অনুযায়ি তিনি গ্রাহক রুমিয়া আক্তার জনীকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আমানতের বিপরীতে লভ্যাংশসহ মুলধন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। তার দাবী সংস্থা তাকে সাড়ে ৮ পার্সেন্ট মুনাফা দিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews