বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক সমীরণ মৃধার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে বাগানের ২০২৩ নং সেকশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। চিৎকারে আশপাশের শ্রমিকরা এগিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এব্যাপারে আহত বাগান ব্যবস্থাপক দুপুরে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।
আহত বাগান ব্যস্থাপক সমীরণ মৃধা চট্টগ্রাম জেলার ভোজপুর উপজেলার সোনারখিল গ্রামের গুরুদাস মৃধার ছেলে। তিনি বিগত ৬ মাস যাবত বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়শাবাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক হিসাবে কর্মরত।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আয়েশাবাগ চা বাগানের ব্যবস্থাপক সমীরণ মৃধা প্রতিদিনই চা বাগানের বিভিন্ন সেকশন পরিদর্শণ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালে তিনি ২০২৩ নং সেকশনের চা প্ল্যান্টশন এরিয়া পরিদর্শন শেষে মোটর সাইকেল যোগে অফিসের দিকে রওয়ানা দেন। সকাল অনুমান ১১টার দিকে উক্ত সেকশনের দক্ষিণ পার্শ্বের রাস্তায় পৌঁছলে হঠাৎ কয়েকজন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত পেছন দিক থেকে লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে তার মাথায়, পিঠে ও বাম হাতে আঘাত করতে থাকে। মোটর সাইকেল থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার ওপর এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। তার চিৎকারে আশপাশের বাগান শ্রমিকরা এগিয়ে আসলে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হত্যার হুমকি দিয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। বাগান শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত চা বাগান ব্যবস্থাপক সমীরণ মৃধা জানান, তিনি প্রায় ৬ মাস আগে এই বাগানে যোগদান করেন। প্রতিদিনই তিনি চা বাগানের বিভিন্ন সেকশন পরিদর্শণ করেন। কেউ কখনও তার ওপর হামলার চেষ্টা চালায়নি। গত ১২ মে বাগানের লীজকৃত ভূমির উন্নয়ন কাজ চলাকালে বেরেঙ্গা পুঞ্জির মৃত অনিল খাসিয়ার ছেলে কুয়ান সিং হঠাৎ তার অফিসে ঢুকে গালিগালাজ ও হুমকি ধমকি দেয়। কিভাবে এই বাগানে আমি চাকরি করি তা-ও দেখে নিবে বলেও ভয়ভীতি দেখিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৩ মে কুয়ান সিংয়ের বিরুদ্ধে তিনি শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জিডি করেন। একারণে ক্ষুব্ধ হয়ে কুয়ান সিং সন্ত্রাসী দিয়ে তার ওপর হামলা চালাতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। প্রাণনাশের অপচেষ্টা ও তাদের হত্যার হুমকিতে তিনি আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে এব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply