বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখায় গত বৃহস্পতিবার তীব্র শীতের রাতে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ঘুরে দিনমজুর, দলিত সম্প্রদায় ও ছিন্নমূল অসহায় মানুষকে খুঁজে খুঁজে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছেন ইউএনও নাজরাতুন নাঈম।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫,৭২০ পিস কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউএনও নাজরাতুন নাঈম এরমধ্য থেকে বেশ কিছু কম্বল সরকারি গাড়িতে তুলে কনকনে শীতের রাতে নিজেই বেরিয়ে পড়েন হাটে-বাজারে থাকা ছিন্নমুল ও অসহায় শীতার্ত মানুষের তা বিতরণ করতে। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) উবায়েদ উল্লাহ খান, উপজেলা পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের লোকজন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বড়লেখায় ৫৭২০টি কম্বল বরাদ্দ মিলেছে। এগুলো ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। এরমধ্য থেকে বেশ কিছু কম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, দিনমজুর, দলিত সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ও ছিন্নমূল অসহায় মানুষের হাতে সরাসারি পৌঁছে দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বড়লেখা পৌর শহর, দাসেরবাজার, চান্দগ্রামসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে নি¤œ আয়ের ২৫ জন মানুষের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) তোলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম। অনেকের গায়ে তিনি নিজেই তা পরিয়ে দেন। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত তিনি এই কার্যক্রম চালিয়েছেন। এর আগে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ৩৫ পিস, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাধবকুন্ড পুঞ্জিতে ৫০ পিস, ৭ নং পুিঞ্জতে ২৫ পিস, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বেরেঙ্গা পুিঞ্জতে ৪০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
ইউএনও নাজরাতুন নাঈম জানান, ‘গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া কম্বল আমরা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বিতরণ করিয়েছি। পাশাপাশি রাতেরবেলা দিনমজুর, দলিত সম্প্রদায় ও ছিন্নমূল অসহায় মানুষ খুঁজে খুঁজে আমরা তাদের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) তোলে দিচ্ছি। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তিনি ২৫ জন অসহায় শীতার্তকে কম্বল দিয়েছেন’।
Leave a Reply