এইবেলা, বড়লেখা :
বড়লেখায় অবশেষে আদালতের নির্দেশে প্রবাসীদের বাড়ির প্রবেশ মূখের (রাস্তার) প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেছে থানা পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সরকারি ভূমিতে নির্মিত টিনের ঘর সরিয়ে দিল পুলিশ। গত বছরের ১৩ জুন দৈনিক জালালাবাদের শেষ পৃষ্ঠায় ‘বড়লেখায় প্রবাসীদের বাড়ির প্রবেশ মূখে প্রতিবন্ধকতা-অপসারণের নির্দেশ আদালতের’ শিরোনামে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়।
বড়লেখা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পিটিশন মামলা-৩৩/২৩ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদ মানিকের তিন ছেলে ও এক মেয়ে ইউরোপে থাকেন। বাড়িতে বৃদ্ধ ও অসুস্থ মা এবং এক ভাই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। প্রবাসীরাও বছরে ১/২ বার দেশে আসেন। গত ৫০/৬০ বছর ধরে মৃত আব্দুল আহাদ ও আশপাশের ৪/৫ পরিবারের লোকজন আংশিক রেকর্ডিয় সহ ব্যক্তি মালিকানাধীন রাস্তা দিয়ে যার যার বসত বাড়িতে যাতায়াত করেন। মৃত আব্দুল আহাদ মানিকের বসত বাড়ি থেকে বের হওয়ার সম্মুখভাগে প্রায় ৮ বছর আগে জেলা পরিষদ ইটসলিং করা হয়। গত ২২ মে হঠাৎ রাস্তা সংলগ্ন ভূমি মালিক সমছুল হকের ভাগ্না-ভাতিজারা জোরপূর্বক প্রবাসীদের বসত বাড়ির প্রবেশ মূখের সরকারি ইটসলিংয়ের উপর মাটি ভরাট করে টিনের ঘর নির্মাণ করেন। অপরাংশ তারকাটা দিয়ে বন্ধ করায় প্রবাসীদের বাড়িতে থাকা অসুস্থ মা, ভাই সহ অন্যান্য সদস্যরা গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। এব্যাপারে ভোক্তভোগি পরিবারের সদস্য মস্তাক আহমদ প্রতিপক্ষের ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে রাস্তার মূখের তারকাটা অপসারণ করা হলেও টিনসেট ঘর অপসারণ করা হয়নি।
এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি মামলাটির ধার্য তারিখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাস্তার ওপর নির্মিত প্রতিবন্ধকতা ৭ দিনের মধ্যে অপসারণ পূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে বড়লেখা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইনের উপস্থিতিতে থানা পুলিশ প্রবাসীদের বাড়ির রাস্তার প্রবেশ মূখে (রাস্তায়) অবৈধভাবে নির্মিত টিনসেট ঘর অপসারণ করেন।
শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নবগোপাল দাস জানান, আদালতের নির্দেশে প্রতিপক্ষকে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণের নোটিশ করা হয়। কিন্ত তারা তা আমলে নেয়নি। আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কালীন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য পুলিশ আদালতে দরখাস্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গত ৩০ জানুয়ারি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে।
Leave a Reply